বরাবরের ন্যায় এবছরও সনাক, পটুয়াখালী বিশ^ পরিবেশ দিবস পালন করেছে। ৫ জুন ২০২২ সকাল ১০ টায় কলাতলা বাজারে সনাক, ইয়েস, ডাক্তার, আইনজীবী ও সিভিল সোসাইটির সদস্যদের অংশগ্রহণে দিবসটি পালন করা হয়। সনাক পটুয়াখালীর প্রাক্তন সভাপতি প্রফেসর পিযুষ কান্তি হরি’র সভাপতিত্বে মানববন্ধন, র্যালী ও আলোচনা সভায় দিবসটির কি নোট পেপার উপস্থাপন করেন ইয়েস সদস্য মো: মঞ্জুরুল হক। আলোচনা করেন, সনাক সদস্য মো: জাবিদুল হক খান, মো: মাহমুদ আলম সজিব, ইয়েস সদস্য বিশ^জিৎ কুমার শীল প্রমুখ।
সনাকের পক্ষ থেকে নিম্নলিখিত দাবী তুলে ধরে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
১. বন ও জলাভূমিসহ পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের নিরাপত্তা বিধান করার সাংবিধানিক নির্দেশনা অনুসারে নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটিয়ে বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে;
২. পরিবেশ দূষণ রোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে সম্পাদনে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে;
৩. পরিবেশ সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কার্যক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সকল পর্যায়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, আদিবাসী এবং নারীসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কার্যক্রম বাস্তবায়নে তাদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে;
৪. সঠিক পরিকল্পনাসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে প্রণোদনা ও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের উপর ‘কার্বন ট্যাক্স’ আরোপ করতে হবে;
৫. বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ¦ালানির ব্যবহার বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ¦ালানির প্রসারে একটি স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন করে প্রশমন বিষয়ক কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে হবে; এখাতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. পরিবেশ অধিদপ্তরসহ পরিবেশ রক্ষায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনসহ আইন প্রয়োগে সকল প্রকার ভয়, চাপ ও আর্থিক প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে দূষণের জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে;
৭. বন, নদী, জলাশয় এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অবৈধ দখলের সাথে জড়িতদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে;
৮. জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের ক্ষতি রোধ এবং জীবন-জীবিকা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ নির্মীয়মান কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো স্থগিত করে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ কৌশলগত, সামাজিক ও পরিবেশগত সমীক্ষা সম্পাদন সাপেক্ষে অগ্রসর হতে হবে;
৯. টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে সকল উন্নয়ন কার্যক্রমে পরিবেশ সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে; এবং
১০. পরিবেশের জন্য টেকসই এবং প্রাত্যহিক জীবনধারণের জন্য সাশ্রয়ী ও বিকল্প ব্যবস্থা প্রবর্তনে পরিবেশ সুরক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রমে নাগরিক অংশগ্রহণ এবং শুদ্ধাচার নিশ্চিত করতে হবে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুন ৫,২০২২//

Discussion about this post