প্রস্তুত করা এই পাঁচ হাজার পশুর মধ্যে আছে ফ্রিজিয়ান ক্রস বাহামা আমেরিকান নেপালি ও সিন্দি ষাঁড় বলদ ও গাভী। রয়েছে মহিষ ছাগল ও বেড়া। মেসার্স আমিনা এগ্রো ফার্মের আছে দেশীয় প্রজাতির বেশী ষাঁড়।
কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার কোরবানীর পশু। ব্যক্তি উদ্যোগে পালিত দেশীয় প্রজাতির ভাল মানের ষাঁড় এবং বিভিন্ন খামারেও দেশীয় প্রজাতির এবং বিদেশী জাতের ষাঁড় ও বলদ রয়েছে। এ বছর ভাল দাম পাবার আশা করছেন খামারীর মালিক এবং গৃহস্থ্যরা। দ্ ুএক দিনের মধ্যেই হাট বাজারে জমে উঠবে পশু বেচাকেনা।
আজ শুক্রবার (১ জুলাই) উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ জানায়, এ বছর মির্জাপুর উপজেলায় একটি পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নে কোরবানীর জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় সারে চার হাজার। বিভিন্ন খামার এবং ব্যক্তি উদ্যোগে চাহিদার চেয়ে বেশী পশু প্রস্তুত হয়েছে পাঁচ হাজার। এলাকায় দেশীয় প্রজাতির বেশী ষাঁড় রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন খামারে ফ্রিজিয়ান, ক্রস, বাহামা, আমেরিকান, নেপালি ও সিন্দি জাতের ষাঁড়, বলদ এবং গাভী রয়েছে। রয়েছে মহিষ, ছাগল ও বেড়া। খামারীদের মধ্যে মেসার্স আমিনা এগ্রো ফার্মের মালিক মো. মঞ্জুরুল কাদের বাবুল এবং মহেড়া পেপার মিলস এগ্রা ফার্মের মালিক মো. তাহেরুল ইসলাম জানান, গত দ্ইু বছর দেশে মহামারী করোনার কারনে পশু বিক্রি করে লাভ করতে পারেননি। ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ বছর নানা কারনে পশুর খাবারের দাম বৃদ্ধির কারনে পশু প্রস্তুত করতে তাদের অনেক খরচ বেড়েছে। বর্ষা ম্যেসুমে বন্যার কারনে তাদরে দুঃচিন্তা বেড়েছে। খামারে ভাল মানের পশু প্রস্তুত করেছেন। ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের একটি ষাঁড় এবং বলদ ৭০ হাজার টাকা থেকে চার লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
অপর দিকে টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ কোরবানীর পশুর হাট রয়েছে মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটা এবং কাইতলা। এই দুটি হাটে কোরবানীর পশু বেচাকেনা এখনও জমে উঠেনি। দেওহাটা গরুর হাটের ইজারাদার ও ১০ নং গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. কামরুজ্জামান বলেন, এই হাটে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী পশু বিক্রি হয়। ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়নগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলার বেপারি এবং ক্রেতাগন পশু কিনতে আসেন। তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হয়। দুই এক দিনের মধ্যে বেচাকেনা জমে উঠবে বলে তিনি আশা করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন আহমেদ সুজন বলেন, এ বছর মির্জাপুর উপজেলায় কোরবানীর জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় সারে চার হাজার। বিভিন্ন খামার এবং ব্যক্তি উদ্যোগে চাহিদার চেয়ে বেশী পশু প্রস্তুত হয়েছে পাঁচ হাজার। এলাকায় দেশীয় প্রজাতির বেশী ষাঁড় ও বলদ রয়েছে। খামারী ও কৃষকদের প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এলাকায় এবছর কোরবানীর পশুর চাদিা মিটিয়ে জেলার অন্যত্রও পশু বিক্রি হবে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুলাই ০২,২০২২//

Discussion about this post