মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা: বন্যা ও করোনার সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় কোরবানীর পশু বিক্রি করতে না পেরে চরম বিপাকে পরেছেন খামারীরা।
আজ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বৃহৎ কোরবানী পশুর হাট দেওহাটায় শতশত পশু ফেরত গেছে বলে খামারী ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার কোরবানীর পশু। ব্যক্তি উদ্যোগে পালিত দেশীয় প্রজাতির ভাল মানের ষাঁড় এবং বিভিন্ন খামারেও দেশীয় প্রজাতির এবং বিদেশী জাতের ষাঁড় ও বলদ রয়েছে। এ বছর ভাল দাম পাবার আশা করেছিলেন খামারীর মালিক, মৌসুমী ব্যবসায়ী এবং গৃহস্থ্যরা। বন্যা ও হঠাৎ করে করোনার সংক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের কপাল পুড়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন দেওহাটা পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে শতশত পশু নিয়ে খামারী ও মৌসুমী বেপারী প্রখর রৌদের মধ্যে দাড়িয়ে আছেন। কিন্ত ক্রেতার দেখা মিলছে না। খামারীদের মধ্যে ভুয়াপুরের মো. আলম মিয়া (৫৬) ও চৌহালী থেকে আসা সুমন মিয়া (৫০) অভিযৈাগ করেন, গত বছল যে ষাঁড়ের দাম ছিল ৯০ হাজার থেকে এক লাখ বিশ হাজার টাকা, এ বছর সেই গরু ৭০ হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারছে না। তারা বলেন, দেশ বন্যার পানি বৃদ্ধি এবং করোনার কারনে বাজার খুবই মন্দা। তাদের লাখ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে। খামারীদের মধ্যে মেসার্স আমিনা এগ্রো ফার্মের মালিক মো. মঞ্জুরুল কাদের বাবুল এবং মহেড়া পেপার মিলস এগ্রা ফার্মের মালিক মো. তাহেরুল ইসলাম জানান, গত দ্ইু বছর দেশে মহামারী করোনার কারনে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ বছর পশুর খাবারের দাম বৃদ্ধির কারনে পশু প্রস্তুত করতে তাদের অনেক খরচ বেড়েছে। আবার বন্যা এবং করোনার সংক্রমন নতুন করে বৃদ্ধির ফলে পশু বিক্রি হচ্ছে না। তারা চরম দুঃচিন্তায় পরেছেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ জানায়, মির্জাপুর উপজেলায় দুই হাজার ৪৪৫ জন খামারী রয়েছে। এ বছর মির্জাপুর উপজেলায় একটি পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নে কোরবানীর জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে চার হাজার ৮৫ টি। বিভিন্ন খামার এবং ব্যক্তি উদ্যোগে পশু প্রস্তুত হয়েছে পাঁচ হাজার ৬৯০ টি। এলাকায় দেশীয় প্রজাতির বেশী ষাঁড় রয়েছে। অপর দিকে টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ কোরবানীর পশুর হাট রয়েছে মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটা এবং কাইতলা। এই দুটি হাটে কোরবানীর পশু বেচাকেনা এখনও জমে উঠেনি। তবে দুই এক দিনের মধ্যে বেচাকেনা জমজমাট হবে বলে বেপারি ও হাটের ইজারাদারগন জানিছেন। দেওহাটা হাটের ইজারাদার মো. কামরুজ্জামান বরেন, গত বারের চেয়ে এ বছর পশুর চাহিদা কম। নানা কারনে পশু বিক্রি হচ্ছে না। ফলে খামারী ও মৌসুমরী বেপারীসহ গৃহস্থ্যরা বিপাকে পরেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন আহমেদ সুজন বলেন, এ বছর মির্জাপুর উপজেলায় কোরবানীর জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় সারে চার হাজার।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post