
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলার মুল আসামি গ্রেফতার হয়েছে। সোমবার বিকেলে খোকসা জানিপুর থেকে তাকে আটক করে কুমারখালী থানা পুলিশ। এই ঘটনায় কুমারখালী থানায় ৮ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
আটক কলেজ ছাত্র হত্যা মামলার মুল আসামি আলম হোসেন নন্দলালপুর ইউনিয়নের বাঁশআড়া গ্রামের মুন্সির ছেলে।
জানা যায়, নন্দলালপুর ইউনিয়নের নন্দলালপুর কলমমোড় মাঠপাড়া গ্রামের করিমের মেয়ের সাথে একই এলাকার কলেজ ছাত্র যোগেশের ছেলে নিহত নয়নের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
দুই ধর্মের ছেলে মেয়ের এই সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় শালিসি বৈঠক হয় এবং নয়নকে তার পরিবারের লোকজন বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু তারপরও তাদের প্রেমের সম্পর্ক অটুট থাকার বিষয়টি জানাজানি হয়।
শনিবার গভীর রাতে মেয়ের পরিবারের লোকজন কৌশলে নয়নকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে সোন্দাহ নতুন পাড়া মাঠের মধ্যে রাস্তার পাশে পিটিয়ে মারাত্মক আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। রোববার ভোররাতে সংবাদ পেয়ে নয়নের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিতে বললে পথে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় নয়নের বাবা যোগেশ কুমার সরকার তার ছেলের হত্যার সাথে জড়িত আলমকে মুল আসামি করে মেয়ের বাবা করিম সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার নয়নের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে সৎকার করা হয়েছে।
নিহত কলেজ ছাত্র নন্দলালপুর ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামের দিনমজুর যোগেশ কুমার সরকারের ছেলে নয়ন কুমার সরকার (১৯)। সে আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলো।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ভিন্ন ধর্মীয় ছেলে মেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে রেষারেষি ছিলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় ৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। এবং হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে আটক করে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুলাই ১৮,২০২২//

Discussion about this post