মামুন নূর উদ্দিন মিয়া, মেহেরপুরঃ দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন কোনো জ্বালানি তেলবাহী কন্টেইনার চট্টগ্রাম পয়েন্টে যদি না আসে তাহলে আগামী ১১ দিন পরেই বাংলাদেশের সকল যানবাহন চলাচল ও সকল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাবে।
সারা দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
আজ শনিবার বিকালের দিকে মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এই বাংলাদেশের অর্থনীতি যখন সুশৃংখল তখন এই শহর অঞ্চলে গড়ে ৪ ঘন্টা ও গ্রাম অঞ্চলে ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। কিছুদিন পূর্বেই হাতির ঝিলে শত কোটি টাকা ব্যয় করে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগের উৎসব পালন করা হলো, কিন্তু আজ কয়েক মাসের ব্যবধানে এই রকম বিদ্যুৎবিহীন অবস্থা। বাংলাদেশকে জ্বালানি খাত, প্রাকৃতিক ও ভূগর্ভস্থ সম্পদের উপর নির্ভর না করে আমদানিকৃত জ্বালানি খাতের উপর নির্ভর করা হয়েছে। আজ থেকে পাঁচ বছর পূর্বেও এদেশের অধিকাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভূগর্ভস্থ গ্যাস দ্বারা পরিচালিত হতো। কিন্তু এই অবৈধ সরকার বিদেশী রাষ্ট্রকে খুশি করার জন্য এবং তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়ার জন্য আস্তে আস্তে আমাদের এই জ্বালানি খাতকে আমদানি নির্ভর করে ফেলেছে।
এছাড়াও এসময় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু, ইলিয়াস হোসেন, আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক প্রফেসর ফয়েজ মোহাম্মদ বক্তব্য রাখেন।
পৌর বিএনপির সাভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম নাসির, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম,গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক,জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, মাহাবুবুর রহমান মাহবুব, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সাইফুল ইসলাম,মোঃ আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post