হাটহাজারী থেকে সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে র্যাব ৭। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ২ জনকে জনকে আটক করা হয়েছে ।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম একটি মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী পরিবারের সঙ্গে হাটহাজারীর মিরেরহাট এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত। গত ২ আগস্ট ওই ছাত্রীকে তার বাবা মাদরাসার আবাসিকে থেকে পড়ালেখার কথা বলেন। কিন্তু সে আবাসিকে থাকতে রাজি ছিল না। এ কারনে পরদিন বাসায় কাউকে কিছু না বলে তার নানার বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে মেয়েকে না পেয়ে বিষয়টি র্যাবকে জানান তার বাবা।
এদিকে ওই ছাত্রী বাসা থেকে বের হয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ৩ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে হাটহাজারী বাসষ্ট্যান্ড আসে। সেখানে পূর্ব পরিচিত জাহেদ (১৯) ও তার সহযোগী ইব্রাহীমের (২০) সঙ্গে মেয়েটির দেখা হয়।
তারা মেয়েটিকে তার নানার বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সিএনজিতে তোলে। কিন্তু তারা হালিশহর ছাত্রীটির নানার বাড়ির দিকে না গিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। পরে আসামিরা ভিকটিমকে নিয়ে দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেটে চলে আসে। এরপর নিউমার্কেট থেকে সিএনজি যোগে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে পাহাড়তলী বউ বাজার আমতল গেলে ভিকটিম কৌশলে পালিয়ে একটি বাসায় আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে সেই বাসা থেকে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) র্যাব-৭ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। একইসঙ্গে অপহরণকারীদের আটক করতে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ওইদিন হাটহাজারীর কলেজ মাঠ এলাকা থেকে জাহেদ ও ফটিকছড়ির বিবিরহাট এলাকা থেকে ইব্রাহীমকে আটক করা হয়।
আটক জাহেদ উপজেলার চারিয়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের পুত্র। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। এবং ইব্রাহিম একই এলাকার মৃত খাযরুল বশরের পুত্র বলে জানা গেছে। পরে আটকৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//আগস্ট ০৫.২০২২//

Discussion about this post