সিদ্ধিরগঞ্জের একটি কিশোর গ্যাং এর নাম টেনশন প্রুপ। ওই গ্রুপের ৭জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১১।
রবিবার রাতে মিজমিজি এলাকায় র্যাবের বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করা হয়। সোমবার বিকালে আদমজীতে অবস্থিত র্যাব -১১এর প্রধান কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে মিডিয়া কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
আটকৃতরা হল- মিজমিজির শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. রাইসুল ইসলাম সিমান্ত (গ্যাং লিডার), নজরুল মিয়ার ছেলে মো.নাঈম মিয়া, হাজী আল আমিনের ছেলে মো. হাসান, ইসলামের ছেলে মো. পারভেজ মিয়া, আব্দুল হাকিমের ছেলে আবির বিনহাকিম, আমান উল্লাহর ছেলে মো. রাহাত ও হাজী নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রিয়াদুল ইসলাম। তাদেরকে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতে নাতে আটক করা হয়।
প্রত্যেকের বয়স ২১ হতে ২৪ বছর। তাদের কাছ থেকে ১টি গুপ্তি ছোরা, ২টি গিয়ার সুইচযুক্ত ধারালো চাকু, ২টি ছোরা এবং ২টি লোহা ও ষ্টিলের পাইপ উদ্ধার করা হয়। তারা নিজেদেরকে কিশোর গ্যাং “টেনশন গ্রুপ” এরসদস্য বলে পরিচয় দিয়ে থাকে।
র্যাবের মিডিয়া কর্মকর্তা জানান, তারা সবাই দুষ্কৃতিকারী ও কিশোর গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য। পরস্পর যোগসাজসে তাদের প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের ঘায়েল করার জন্য শক্তির মহড়া ও দাপট প্রদর্শন করে ঘটনা স্থলে গুপ্তি ছোড়া, লোহারও ষ্টিলের পাইপ, ছোরা, সুইচগিয়ার চাকুসহ একত্রিত হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তা ঘাটে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়েসংঘাত সৃষ্টি ও জনমনে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। তারা ৭ থেকে ১০ জনের একটি গ্রুপসংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সময় সিদ্ধিরগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি বা ত্রাস সৃষ্টি করে বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা সৃষ্টি করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব- ১১, সিপিএসসি এর গোয়েন্দা টীম এই ব্যাপারে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবংসুনির্দিষ্ট তথ্য এর ভিত্তিতে কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের সকল আলামত সহ হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়। তাদেরবিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//আগস্ট ০৭,২০২২//

Discussion about this post