কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: প্রায় মাসখানেক আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা চত্বরে চিড়ামুড়ি বা ঘটিগরম বিক্রি করতে এসেছিলেন বৃদ্ধ মো. আমিন উদ্দিন শেখ (৭৫)। নিজের অসহায়ত্বের কথা জানাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডলের কার্যালয়েও গিয়েছিলেন তিনি। ইউএনও তাঁর অসহায়ত্বের কথা শুনে বয়স্ক ভাতা ও সমস্যা নিরোসনের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বুধবার (২৪ আঘষ্ট) দুপুরে বৃদ্ধ আমিন উদ্দিনকে বাড়ি থেকে নিজ কার্যালের ডেকে নিয়ে আসেন ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল। এ সময় তাঁর হাতে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেন ইউএনও। এসময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
বৃদ্ধ মোঃ আমিন উদ্দিন শেখ উপজেলার সদকী ইউনিয়নের খয়েরচরা মাঠপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হাকিম শেখের ছেলে। তিনি তিন সন্তানের মধ্যে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বাকি এক ছেলে ঢাকায় দিনমজুর এবং আরেক ছেলে কুমারখালীতে ভাঙ্গরী মালের কাজ করেন। স্ত্রী একজন প্যারালাইজড রোগী।
জানতে চাইলে ভাতাভোগী মো. আমিন উদ্দিন শেখ বলেন, ‘ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে স্যার ভাতা করে দিছে। আমার বিশাল উপকার হয়েছে। স্যারের মত সারাদেশে অফিসার (ইউএনও) থাকলে আমাদের মত অসহায় লোক থাকবেনা। স্যার যেন আরো বড় অফিসার হন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান, ‘ একদিন ঘটিগরম বিক্রি করতে এসে বৃদ্ধ লোকটি তাঁর অসহায়ত্বের কথা জানিয়েছিলেন। সেদিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে দুই হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছিল। উপযুক্ত হওয়ায় আজ তাঁকে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সুবিধা পাবেন। শুধু তিনি নন তাঁর অসুস্থ স্ত্রীর জন্যেও ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।’
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post