সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ পাবনার সুজানগরের ভবানীপুরে লুট হওয়া ১২টি গরু সাঁথিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার সকালে সাঁথিয়া থানার এসআই আব্দুল রউফ অভিযান চালিয়ে উপজেলার বাগপুর ও পাইক পাড়া গ্রাম থেকে এ সব গরু উদ্ধার করে।
জানাযায়, গত সোমবার বিকালে সুজানগরের ভবানীপুর গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাবেক পুলিশ সদস্য খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হয়। ঘটনার পর থেকেই মামলার আসামি ও প্রতিপক্ষ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করে। এ সুযোগে আসামি পক্ষের গরু লুট হতে থাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাঁথিয়া থানা পুলিশ পাশ্ববর্তী সাঁথিয়ার পাইকপাড়ার কিফাত উল্লার ছেলে বাবুর বাড়ি থেকে ৩টি ও বাগপুর ক্ষেতুপাড়ার মুক্তারের বাড়ি থেকে ৮টি গরু উদ্ধার করে। এছাড়াও অন্য বাড়ি থেকে আরও একটি গরুর সন্ধান পায় পুলিশ।
মুক্তারের স্ত্রী রেখা খাতুন ও বাবুর স্ত্রী রওশনারা জানান, ভবানীপুর গ্রামের মৃত মুছা খন্দকারের ছেলে নিরু খন্দকার(৪৫) মঙ্গলবার রাতে গরু গুলো রেখে গেছে। রওশনারা আরও জানান, একজন মহিলা এসে দুটি গরু নিজেদের বলে চিহিৃত করে গেছে।
পরে সাঁথিয়া থানা পুলিশ সুজানগর থানার ওসি আব্দুল হানাননের কাছে গরু গুলো বুধবার বিকালে হস্তান্তর করেন।
এদিকে বুধবার সকালে থানা পুলিশ মুক্তারের ছেলে মামুন (২৫) কে আটক করেছে। তাকে সুজানগর থানার মামলায় আটক দেখানো হয়েছে বলে জানান, সাঁথিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা কমল কুমার দেবনাথ।
সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সোবাহান জানান, গুরু গুলো ভবানীপুরের নিরু খন্দকার মুক্তারের বাড়িতে রেখে গেছে। অপরাধ হলে মুক্তারের হবে।
অভিযুক্ত নিরু খন্দকারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী হাসপাতালে আছি। গরু লুটের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলে এটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
সুজানগর থানার ওসি আব্দুল হানানন জানান, হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫জনকে আটক করা হয়েছে। সাঁথিয়া থেকে উদ্ধার হওয়া গরু লুট না চুরি তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post