সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রাম থেকে দুই ধর্ষণকারীকে আটক করেছে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের গাজীর ছেলে মোঃ আলমগীর (২৫) ও একই গ্রামের জমসের আলীর ছেলে ফিরোজ আলী (২৪)।
আটককৃতদের শনিবার আদালতে সোপর্দ করলে আসামীরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দী দিলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুুয়া ছাত্রীকে (১৫)র সাথে একই গ্রামের ইয়াদুলের ছেলে ইউসুফের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৪ আগস্ট ওই ছাত্রী ইউসুফ ও তার ৪ বন্ধু মিলে পড়ন্ত বিকেলে আশরাফপুর গ্রামের রোয়াখালী বিলে বেড়াতে যায়। সেখানে সন্ধ্যা নেমে আসলে ইউসুফ ও তার বন্ধুরা মিলে মেয়েটিকে কলাবাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৫, তারিখ ০২-০৯-২০২২ ইং।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে প্রথমে মামলা করতে পারিনি। তারা বিষয়টি গ্রাম্য সালিশিতে মিমাংসার আশ্বাস দিয়ে মিমাংসা না করায় থানায় মামলা করেছি।
মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, দেরিতে মামলা হওয়ায় আলামত পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। পরে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামীদের আটক করা হয়েছে। আসামীরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আরো
তদন্তের স্বার্থে এই মূহুর্তে বাকি আসামীদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন, ভিকটিমের ডাক্তারি পরিক্ষা ও জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে।
রাজা/দৈনিক দেশতথ্য//সেপ্টম্বর ০৪,২০২২//

Discussion about this post