মেহেরপুর শহরের ময়ামারী সড়কের লিচুবাগান থেকে উদ্ধার হওয়া ইজিবাইক চালক জামালকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল। জামানের ইজিবাইক ছিনতাই করার লক্ষ্যে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই করে নেয়া হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শহীদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার পর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গ্রেপ্তার শহিদুল মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে। মেহেরপুর ডিবি পুলিশের একটি দল কুষ্টিয়ার কালিশংকরপুর গ্রাম থেকে শহিদুলকে গ্রেপ্তার করেন।
জানা গেছে, গ্রেফতার শহিদুলহ নিহত ও জামাল একসঙ্গে মাদক সেবন করতেন। ঘটনার দিন ময়ামারী সড়কের একটি লিচু বাগানে দুজনের নেশা করার পর শহিদুল কৌশলে জামালকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে ইজি বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ইজিবাইকটি কুষ্টিয়ার আলমপুর নামকস্থানে রাজিব নামের এক ব্যক্তির কাছ এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় ইজিবাইকটি বিক্রি করেন। রাজীব তাকে এক লক্ষ টাকা পরিশোধ করে এবং বাকি ৩০ হাজার টাকা ইজিবাইকের চার্জার সহ অন্যান্য কাগজপত্র দেওয়ার পরে টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
এদিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মেহেরপুর ডিবি’র ওসি সাইফুল আলম মেহেরপুর সদর থানার ওসি তদন্ত মেজবাহ উদ্দিন সহ সঙ্গীয় ফোর্স কুষ্টিয়ার কালিশংকরপুর গ্রামে অভিযান চালান। শুক্রবার দিবাগত রাতে শহীদুলকে আটক করার পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইজিবাইকটি উদ্ধার করেন। গত বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে মেহেরপুরের ময়ামারী সড়কের একটি লিচু বাগান থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//সেপ্টম্বর ১০,২০২২//

Discussion about this post