তারা সবাই বাল্যবন্ধু। তারা ১৯৮৬ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একজন হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি। সমবয়সীরা বন্ধুকে শুভেচ্ছা জানাতে গতকাল রোববার সকালে করেছিলেন পুলিশ বন্ধুর সম্বর্ধনার আয়োজন। পোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় সংবর্ধণা ও মতবিনিময় সভা।
এতে সভাপতিত্ব করেন পোড়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান হাজী ফারুকুজ্জামান জন। অনুষ্ঠানের মধ্যমনি ছিলেন কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান পিপিএম সেবা। মীর আব্দুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় তেলাওয়াত করেন মো: রেজাউল হক স্বাগত বক্তব্য রাখেন মো: সাইফুল ইসলাম শাহিন।
অতিরিক্ত ডিআইজিকে ফুলেল জানান পোড়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান ও সহপাঠিগণ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্রী স্বপন কুমার চক্রবর্তী ও হাজী মো: আনোয়ার আলী।
সহপাঠীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো: আব্দুল লতিফ, মো: নজরুল ইসলাম, মো: তমসের আলী, মো: আমিরুল ইসলাম প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো: গিয়াস উদ্দিন।
অনুষ্ঠানের মধ্যমনি বলেন, আমি বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ডিভিশনে জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষেই আমাদের লক্ষ্য। অত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বাল্যবিবাহ, যৌতুক বিরোধী ভূমিকাসহ সার্বিক কল্যাণমূলক কাজে আমাদের অংশগ্রহণ করা উচিত।
আলোচনা শেষে সম্মননা ক্রেস্ট প্রদান করেন সহপাঠিরা। সর্বশেষে অতিরিক্ত ডিআইজি ধূমপান ছেড়ে দেওয়ায় এবং ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে সহায়তা করায় সাফ‘র পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//সেপ্টম্বর ১৯,২০২২//

Discussion about this post