রুম্মান দেওয়ান, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ।।ঢাকা-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক এবং ব্যাংকের এটিএম বুথে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণকালে দেশীয় অস্ত্র, ককটেল ও খেলনা পিস্তলসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের ১১ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১১।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত গভীররাতে নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানাধীন আতুশাল এলাকা হতে তাদের আটক করা হয়। সোমবার দুপুরে আদমজী নগর র্যাব-১১ এর প্রধান কার্যালয়ে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আটকৃতরা হলো ডাকাত সর্দার আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৮), আনোয়ার হোসেন ওরফে বাবুল (৩৫), জব্বার ওরফে লিটন (৪৮), রবিউল ইসলাম (৪৭), রাশেদুল ইসলাম (৩৬), সজিব খান (৩০), জাকির (২৮), হোসেন মিয়া (৫২), জাকির হোসেন (৩২), রিপন (২৭) ও সবুজ (৩৮)। তাদের হেফাজত হতে ককটেল ৫৪ টি, রামদা ৪ টি, চাইনিজ কুড়াল ১ টি, চাপাতি ৩ টি, খেলনা পিস্তল ১টি এবং ১টি হায়েস মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
র্যাব অধিনায়ক জানান, সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি এর আগেও পরষ্পর যোগসাজশে পূর্ব-পরিকল্পনামাফিক ঢাকা-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়ীসমূহ এবং আশে-পাশের বিভিন্ন বাসা ও দোকানে তাদের ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। গতকাল রাতে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার বিভিন্ন নির্জন স্থানে গাড়ি ও একই এলাকায় বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ ডাকাতি করা। তাদের ডাকাতি কাজের ধরন ছিল ব্যবহৃত মাইক্রোবাস দ্বারা ব্যারিকেড সৃষ্টি করে চলন্ত গাড়ীর গতিরোধ করে অতর্কিতভাবে হামলা করে এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ককটেল ও খেলনা পিস্তল প্রদর্শন করে চলাচলরত যাত্রীসাধারণদের ভয়ভীতি, আতঙ্ক সৃষ্টি শেষে মাইক্রোবাসযোগে দ্রুততার সাথে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যাওয়া। দুষ্কৃতিকারী এই ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতি করতে গিয়ে কখনও কখনও জনসাধারণকে মারধর, ছুরিকাঘাত ও গাড়ি ভাংচুরসহ গুরুতর জখম এমনকি প্রাণনাশের মতো ঘটনাও ঘটিয়ে থাকে। ডাকাত সর্দার আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ৪টি মামলাসহ আনোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১৯ সেপ্টেম্বর-২০২২

Discussion about this post