
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জ নারী কেলেঙ্কারীতে ফেঁসে যেতে পারেন। তার বিরুদ্ধে জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক নওরিন রহমান (১৯) সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার থানায় দায়ের করা আবেদনে তিনি বলেছেন, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জ তাকে কু প্রস্তাব দিয়ে শ্লীতাহানীর চেষ্টা করেছেন। তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফেক আইডিতে তার ছবি ভাইরাল করেছেন। তার সাথে জড়িত আছেন কুষ্টিয়া শহরের পিয়ারাতলা এলাকার সোহেল রানার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ফারদিন সৃষ্টি। জেলা ছাত্রলীগের সদস্য একই এলাকার হৃদয় ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের ঘনিষ্ট সহচর মোহাইমিনুল মিরাজ।
অভিযোগকারী নওরিন রহমান (১৯) কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা। সে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহ-সম্পাদক। তিনি চলতি বছর কুষ্টিয়ার মিরপুর ছাতিয়ান আব্দুল বাছেত বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ এসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অর্নাসে ভর্তি হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
তিনি বলেন, “ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ অভিযুক্তরা তার জীবনকে ইতোমধ্যেই দুর্বিষহ করে তুলেছে। আমার পার্সোনাল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আমার এবং আমার পরিবারের মান-সম্মান চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে। আমি তাদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জ বলেন, এ ধরণের অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। দাবি করেন এখন পর্যন্ত তাঁকে এ বিষয়ে কেউ কোন কিছু জানায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে তিনি কোন কিছু জানেন না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেনের অফিশিয়াল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে কুষ্টিয়া মডেল থানার (ওসি) তদন্ত জহিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ নিয়ে এক তরুণী প্রথমে তাঁর কাছে আসেন এবং পরে অফিসার ইনচার্জ’র সাথে কথা বলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলীয় কোন বিষয় নিয়ে সম্ভাবত তাদের মধ্যে কোন ঝামেলা হয়ে থাকতে পারে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//সেপ্টম্বর ২০,২০২২//

Discussion about this post