টাংগাইলের এক কিশোরী জামালপুরের আরেক কিশোরীকে ভাগিয়ে ঢাকায় এনে হৈচৈ কারবার করে ফেলেছেন।
একই স্কুলের একই শ্রেণীতে পড়ার সুবাদে গড়ে উঠে সখ্যতা। সেই সসখ্যতা ভালোবাসায় রূপ নেয়। ভালোবাসা তাদের সমকামী করে তোলে।
এভাবে তাদের সমকামী সম্পর্ক চলে টানা তিন বছর। এরপর তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় এসে দেড় লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলায়।
এদের একজনের নাম মিম আক্তার আদুরি (১৫)। অপর জনের নাম আরিয়ান ইসলাম মিম (১৫)।
সমকামী এই দুই মেয়ের বিয়ে নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে সমকামী বিয়ের ঘটনায় দুই মেয়েসহ তাদের দুই সহযোগীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলার ইউনিয়নের হাটবাড়ি গ্রামের দুদু মিয়ার বাড়িতে স্থানীয় মানুষ দুই সমকামী কিশোরীকে দেখতে ভীড় জমান।
মিম আক্তার আদুরি (১৫) উপজেলার ডোয়াইল হাটবাড়ী গ্রামের দুদু মিয়ার মেয়ে।আরিয়ান ইসলাম মিম (১৫) টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলা পাঁচনখালী গ্রামের রয়েজ আলীর মেয়ে। তারা ডোয়াইল ইউনিয়নের কুঠিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে ফেইসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। তারা দুজনেই দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ফলে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ অবস্থায় তারা তিনদিন আগে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার্য করে বিবাহের অঙ্গীকার নামা লিখেন। পরে তাদের পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে ঢাকার মহাখালী ডোয়াইলের হাটবাড়ী থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সাথে তাদের দুই সহযোগী আয়াত আক্তার (১৭) ও রফিক ইসলাম (১৮) নামে দুই মেয়েকেও নিয়ে আসা হয়।
পরে এ নিয়ে বুধবার সকালে ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়রা বৈঠক করেন। বৈঠকে তাদের কথা-বার্তায় সমকামী বলে সন্দেহ করেন উপস্থিত জনগণ। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে পুলিশে সোর্পদ করেন।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, অপর মেয়েটি তার মেয়ের বান্ধবী। মাঝে মধ্যে সে এখানে বেড়াতে আসতো। তিনদিন আগে অপর মেয়েটি তার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে মহাখালীতে নিয়ে যায়।
মিম আক্তার আদুরি ও আরিয়ান ইসলাম মিম বলেন, তারা একে অপরকে খুব ভালোবাসে। তাই তারা বিয়ে করেছে। ৩ বছর আগে তাদের সম্পর্ক হয়। তাদের উভয়ের সম্মতিক্রমে বিয়ে হয়েছে। একজন আরেক জনকে ছাড়া থাকতে পারবে না বলেও জানান তারা।
ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন দৈনিক দেশতথ্য পত্রিকাকে বলেন, কিভাবে মেয়ের সাথে মেয়ের বিবাহ হয়। এটা সত্যিই একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ সময় তাদের অপর দুই মেয়ে সহযোগী পুরান ঢাকার ১১নং রোডের রফিক মিয়ার মেয়ে আয়াত (১৯) বান্ধবী রাফিন ইসলাম(১৯) সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এ কর্মরত রয়েছেন বলেও জানান।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি মহব্বত কবীর জানান, এ বিষয়ে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তাদেরকে পরিবারের লোকজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//সেপ্টেম্বর ২২,২০২২//

Discussion about this post