Thursday, 21 August 2025
🕗
দৈনিক দেশতথ্য
Advertisement
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্থানীয় খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্থানীয় খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার
No Result
View All Result
দৈনিক দেশতথ্য
No Result
View All Result

সন্তানদের উপর অভিমানেই ঘর ছাড়েন রহিমা

কনি by কনি
25/09/2022
in স্থানীয় খবর
Reading Time: 1 min read
0
সন্তানদের উপর অভিমানেই ঘর ছাড়েন রহিমা
Share on FacebookShare on Twitter Share on E-mail Share on WhatsApp

শেখ দীন মাহমুদ, খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগম (৫২) ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে গিয়ে কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ছেলে–মেয়েদের ওপর রাগ করে তিনি ঘর ছেড়েছেন। তিনি আর বাড়ি ফিরতে চান না। এমনকি প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের কথা ওই বাড়ির লোকজনকে বলেছিলেন রহিমা বেগম।

কুদ্দুস মোল্লা (৭০) কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন খুলনায় বসবাস করেছেন। তিনি খুলনার সোনালী জুট মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তখন রহিমা বেগমের বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। বছর দশেক আগে ওই পাটকল বন্ধ হওয়ার পর কুদ্দুস বোয়ালমারীর সৈয়দপুরে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। এই বাড়ি থেকেই শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা মহানগর পুলিশের একটি দল রহিমা বেগমকে উদ্ধার করেন।

এর আগে, গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার বাসার উঠানের নলকূপে পানি আনতে যান রহিমা বেগম। এর পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরদিন তার মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ মামলায়  এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মায়ের সন্ধান চেয়ে ঢাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ করে আসছিলেন রহিমা বেগমের সন্তানেরা।

সর্বশেষ শনিবার সকালে সৈয়দপুর গ্রামে কুদ্দুস মোল্লার বাড়ির লোকজন ও আশপাশের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল চারটা বা সাড়ে চারটার দিকে একটি বাসে করে রহিমা বেগম সৈয়দপুর বাসস্ট্যান্ড নামেন। তখন তাঁর হাতে একটি ব্যাগ ছিল। তিনি এসে ওই বাজারের মুদিদোকানদার ইউনুস বিশ্বাসের কাছে মোতালেব মুসল্লির (কুদ্দুস মোল্লার বাবা) বাড়ি কোথায় জানতে চান। তখন ইউনুস বিশ্বাস রহিমার পরিচয় জানতে চান।

এরপর রহিমা বেগম বলেন, তিনি বরিশাল থেকে এসেছেন, তিনি কুদ্দুস মোল্লার স্ত্রী হীরার চাচাতো বোন। তখন ইউনুস এক শিশুকে সঙ্গে দিয়ে তাঁকে কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

কুদ্দুস মোল্লার জামাতা নূর মোহাম্মদ বলেন, রহিমা বেগম কেন এবং কী কারণে বাড়িতে এসেছেন, তা তিনি তাঁর শাশুড়ি হীরার কাছে জানতে চান। হীরা জানান, তাঁরা যখন খুলনা ছিলেন তখন রহিমার সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়। সেই সূত্রে তিনি বেড়াতে এসেছেন।

কুদ্দুসের মেয়ে সুমাইয়া বেগম বলেন, রহিমা বাড়িতে স্বাভাবিকভাবেই দিনগুলো কাটিয়েছেন। তিনি নিয়মিত নামাজ পড়তেন এবং সবার সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন। তবে তাঁর চোখের সমস্যা ছিল, চোখ দিয়ে পানি পড়ত। এ জন্য বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে চিকিৎসককেও দেখানো হয়।

এব্যাপারে সুমাইয়া বলেন, রহিমা বেগম তাকে বলেছেন, জমি নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে তাদের ঝামেলা চলছে। এই ঝামেলার জন্য তাকে মারধর করা হয়েছে। তাই তিনি বাড়ি থেকে চলে এসেছেন। যদিও তার শরীরে মারপিট করার কোনো আঘাত পাওয়া যায়নি। তবে তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন।

কুদ্দুস মোল্লার ভাগনে মোহাম্মদ জয়নাল বলেন, গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং বিভিন্ন অনলাইনে তিনি রহিমা বেগমের ছবি দেখতে পান। ওই ছবিটি দেখানো হলে রহিমা বেগম ছবিটা নিজের বলে শনাক্ত করেন। এরপর তিনি লোকজনকে বলেন, তার ছেলে–মেয়ে তাকে কেউ পছন্দ করে না। তিনি বাড়িতে ফিরে যাবেন না। তিনি বাড়ি গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

মোহাম্মদ জয়নাল বলেন, রহিমা তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি মৃত স্বামী মান্নানের কাছ থেকে দুই কাঠা জমি পেয়েছেন। তাঁর ছেলে–মেয়েরা এই জমি বিক্রির জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। ছেলে–মেয়েরা জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে চান। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। তিনি রাগ করে চলে এসেছেন।

জয়নাল আরও জানান, এ ঘটনা জানার পর কুদ্দুসের ছেলে আল আমিন ফেসবুকে রহিমার মেয়ে মরিয়ম মান্নানের ফেসবুক আইডিতে এ বিষয়ে কমেন্ট করেছিলেন। কিন্তু তিনি কোনো উত্তর দেননি। এ ছাড়া ফেসবুক ঘাঁটাঘাঁটি করে তিনি রহিমা বেগমের ছেলে মিজানের নম্বর পেয়েছিলেন। সেই নম্বরে ফোন দেওয়ার পর ফোনটি এক নারী ধরেন। ওই নারী বলেন, ‘এই নম্বরে আর ফোন দেবেন না।’ এ কথা বলে তিনি ফোনটি কেটে দেন। এরপর রহিমা বেগমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা হয়নি বলেও জানান তিনি। 

গত শুক্রবার রহিমা বেগমের ছবি দেখার পর শনিবার সকালে স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোশারফ মোল্লাকে বিষয়টি জানান কুদ্দুসের ভাগনে জয়নাল ও জামাতা নূর মোহাম্মদ। মোশারফ মোল্লা খুলনা সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলের সহযোগিতায় বিষয়টি খুলনা পুলিশকে জানান। মোশারফ মোল্লার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ নিশ্চিত হয় রহিমা বেগম সৈয়দপুর গ্রামে আছেন। পুলিশ রহিমা বেগমকে নজরে রাখতে বলেন। পুলিশ জানায়, যেকোনো মুহূর্তে তারা সৈয়দপুর আসবে।

জয়নাল আরও বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইউপি সদস্য মোশারফ তাঁকে ফোন করে বলেন খুলনা থেকে লোকজন এসেছে। এরপর খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি আবদুর রহমানের সঙ্গে একজন নারী পুলিশ পুলিশ সদস্যসহ চার–পাঁচজন কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে প্রবেশ করেন। এডিসি আবদুর রহমান গিয়ে রহিমা বেগমের সামনে দাঁড়ান। আবদুর রহমান তাকে বলেন, ‘আপনি আমাকে চিনতে পেরেছেন কি না, আমি আবদুর রহমান।’ এ সময় রহিমা বেগমকে আরও কিছু প্রশ্ন করেন তিনি। তবে কোনো প্রশ্নের উত্তরই রহিমা বেগম দেননি। পুলিশ আসার আগে রহিমা বেগম বাড়ির সবার সঙ্গে গল্প করছিলেন। পুলিশ দেখে তিনি চুপ হয়ে যান।

পরে রহিমা বেগমকে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় কুদ্দুস মোল্লার স্ত্রী হীরা বেগম (৬০), ছেলে আল আমিন (২৫) ও কুদ্দুসের ভাইয়ের স্ত্রী রাহেলা বেগমকেও (৪৫) নিয়ে যায় পুলিশ।

সর্বশেষ আজ সকালে কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি ঘুরে দেখা যায়, একটি টিনের চৌচালা ঘরবিশিষ্ট এই বাড়িতে চারটি কক্ষ রয়েছে। যার একটি কক্ষে রহিমা বেগম থাকতেন। নূর মোহাম্মদ জানান, রহিমা বেগম প্রথমে একাই ওই কক্ষে থাকতেন। তবে শুক্রবার রহিমা বেগমের বিষয়টি জানার পর হীরা বেগম তাঁর সঙ্গে থাকতেন।

এব্যাপারে ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন মোল্লা (৩৫) বলেন, কুদ্দুস মোল্লা সৈয়দপুরে ফিরে এসে স্থানীয় জনতা জুট মিলের শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরিবারটি অত্যন্ত নিরীহ। শুক্রবার রাতে রহিমা বেগমের সঙ্গে কুদ্দুসের স্ত্রী–পুত্রসহ তিনজনকে নিয়ে গেছে পুলিশ। তাঁরা বর্তমানে খুলনায় পুলিশি হেফাজতে আছেন।

সর্বশেষ এ ব্যাপারে তিনি খুলনা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। খুলনা পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং পরে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আর//দৈনিক দেশতথ্য//২৫  সেপ্টেম্বর-২০২২

Tags: সন্তারদের উপর অভিমানেই ঘর ছাড়েন রহিমা
প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন
Previous Post

রোগীর পেটে কাঁচি রাখায় ডাক্তার কারাগারে

Next Post

গাংনীতে সড়কে গাছ ফেলে গণডাকাতি

Related Posts

ভেড়ামারায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত
স্থানীয় খবর

ভেড়ামারায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

ভালুকায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা
স্থানীয় খবর

ভালুকায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা

আনসার ও ভিডিপির নিজস্ব অর্থায়নে গাছের চারা রোপন
স্থানীয় খবর

আনসার ও ভিডিপির নিজস্ব অর্থায়নে গাছের চারা রোপন

Next Post
গাংনীতে সড়কে গাছ ফেলে গণডাকাতি

গাংনীতে সড়কে গাছ ফেলে গণডাকাতি

Discussion about this post

সর্বশেষ সংবাদ

কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবি

কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবি

ভেড়ামারায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

ভেড়ামারায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁওয়ে ৩শ’ বস্তা সরকারি সারসহ ট্রাক আটক

ঠাকুরগাঁওয়ে ৩শ’ বস্তা সরকারি সারসহ ট্রাক আটক

কুড়িগ্রামে মাদক প্রতিরোধ কমিটির যাত্রা শুরু

কুড়িগ্রামে মাদক প্রতিরোধ কমিটির যাত্রা শুরু

গহিন অরণ্যে ৩০টিরও বেশি প্রাচীন গিরিখাত

গহিন অরণ্যে ৩০টিরও বেশি প্রাচীন গিরিখাত

আর্কাইভ

August 2025
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
« Jul    

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ আব্দুল বারী
ইমেইলঃ dtbangla@gmail.com

Mobile No- +88 01710862632
ঢাকা অফিসঃ ৩৩ কাকরাইল (২য় তলা)
ভিআইপি রোড, কাকরাইল ঢাকা -১০০০
প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠানোর ইমেল:
newsdtb@gmail.com
কুষ্টিয়া অফিস: দৈনিক দেশতথ্য
দাদাপুর রোড (মজমপুর)
(কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের সামনে)
মোবাইল:01716831971

Copyright © 2024 dailydeshtottoh All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্থানীয় খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার

Copyright © 2024 dailydeshtottoh All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist