Thursday, 21 August 2025
🕗
দৈনিক দেশতথ্য
Advertisement
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্থানীয় খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্থানীয় খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার
No Result
View All Result
দৈনিক দেশতথ্য
No Result
View All Result

ধান চাষে খরচ বাড়ায় ধানী জমিতে আম চাষ

দেশতথ্য ঢাকা অফিস by দেশতথ্য ঢাকা অফিস
03/10/2022
in কৃষি
Reading Time: 1 min read
0
ধান চাষে খরচ বাড়ায় ধানী জমিতে আম চাষ
Share on FacebookShare on Twitter Share on E-mail Share on WhatsApp

রাশেদুজ্জামান,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:

উঁচু-নিচু, ঢেউ খেলানো নওগাঁ জেলার প্রধান ফসল ধান। দেশের সবচেয়ে বেশি চাল উৎপাদনও হয় এ জেলায়। তবে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের চাষীরা। বেশি লাভজনক হওয়ায় ধানি জমিতে গড়ে তুলছেন ফলের বাগান। বিশেষ করে আম চাষেই বেশি ঝুঁকছেন চাষীরা।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ১১টি উপজেলায় ২০১৩ সালে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন ও ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪০ হেক্টরে বোরো ধান চাষ করা হয়েছিল। এক দশক পর এসে চলতি বছর ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৬৪ হেক্টরে আমন ও ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। সংখ্যার বিচারে পুরো জেলায় ধান চাষের মোট ভূমি খুব একটা না কমলেও বরেন্দ্র অধ্যুষিত এলাকাগুলোর ধানি জমি ঠিকই আমের দখলে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যে ১০ বছরের ব্যবধানে সাপাহার উপজেলায় ১ হাজার ৫৬০, পোরশায় ৪৬০, মহাদেবপুরে ৯ হাজার ৯৩৫ ও নিয়ামতপুরে ৬৯৭ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ কমেছে। আর বোরো ধানের আবাদ কমেছে সাপাহারে ৫১০, পোরশায় ৪৬০, পত্নীতলায় ১ হাজার ৭৭০ ও বদলগাছীতে ১ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে। অপরদিকে ২০১৩ সালে জেলার ১১টি উপজেলায় কেবল ৯ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান ছিল। সেটি এখন তিন গুণ বেড়ে ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক দশকে জেলায় ২০ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে নতুন করে আমের বাগান সম্প্রসারণ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আমের বাগান বেড়েছে সাপাহারে ৮ হাজার ১৪০ হেক্টর জমি। এছাড়া পোরশায় বেড়েছে ৬ হাজার ৪৪০, নিয়ামতপুরে ৭৬৫ ও পত্নীতলায় ৩ হাজার ৫৪৬ হেক্টর।জানা যায়, এক সময় জেলার বরেন্দ্র অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল ধান, গম ও আম। ভূপৃষ্ঠে পানির স্তর অনেক নিচে থাকায় এক দশক আগেও বৃষ্টিনির্ভর ফসল আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন সেখানকার কৃষক। বছরের বাকি সময়টা অনাবাদি হয়েই পড়ে থাকত সেই জমি। এতে করে আর্থসামাজিক উন্নয়ন থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়তে হয় কৃষিনির্ভর পরিবারগুলোকে। তাই এক সময় ধানের আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে জমিতে গড়ে তোলেন আমের বাগান। এরপর তাদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে পেছনে ফেলে আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে নওগাঁ। ওই অঞ্চলে আম চাষে বাড়তি উৎসাহ জোগাচ্ছে সাপাহার অর্থনৈতিক অঞ্চল। ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারের নীতিগত অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সেখানে জুস কারখানা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। তাই ধানচাষীরা এখন আমকেন্দ্রিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়ে বাড়তি আয়ের স্বপ্ন বুনছেন।
ধান চাষে সেচ ও শ্রমিক সংকট এবং মজুরি বৃদ্ধিতে লাভ কম হওয়ায় বরেন্দ্র এলাকার চাষীরা বর্ষা মৌসুমে সেচ সুবিধা আছে এমন জমিতে আম বাগান গড়ে তুলছেন। সাপাহার উপজেলার তরুণ উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন, এক সময় শুধু ধানের ওপর নির্ভর করে আমাদের চলতে হতো। ফসলের দামও তেমন পাওয়া যেত না। তাই ধানের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় আম চাষ শুরু করেছিলাম। বর্তমানে ১৫০ বিঘা জমিতে আমের বাগান গড়েছি। লিজ নিয়ে এ বছর নতুন করে আরো ১২ বিঘা জমিতে আম বাগান সম্প্রসারণ করেছি। প্রতি বিঘা লিজ নিতে হয়েছে ২০-৩০ হাজার টাকায়। আবার জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে চারা রোপণ, সার, স্প্রে, বেড়া, খুঁটি, শ্রমিকসহ প্রতি বিঘায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় চাষীদের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর দুয়েকের মধ্যেই এ গাছগুলোতে আম পাওয়া যাবে। তবে আমকেন্দ্রিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে দ্রুত অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নসহ জেলায় জুস কারখানা স্থাপনের দাবি জানান তিনি।
ধানে লাভ নেই বলে ২৫ বিঘা জমিতে আম বাগান করেছেন পত্নীতলা উপজেলার আমচাষী শফিউল আযম। এ বছর নতুন করে আরো আট বিঘা ধানি জমি কিনে আমের বাগান গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পোরশা উপজেলার আমচাষী আশরাফুল ইসলাম বলেন, সাপাহারে যেহেতু অর্থনৈতিক অঞ্চল হতে যাচ্ছে, নিশ্চয়ই আমাদের সুদিন আসবে। তাই আম চাষকে জীবনের একমাত্র লক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছি। ৭০ বিঘা জমিতে আ¤্রপালি, বারি-৪, গৌড়মতী, ল্যাংড়া, হিমসাগর, ফজলিসহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জাতের আমের বাগান রয়েছে আমার। এর মধ্যে গত বছর প্রায় ১৫ বিঘা ধানি জমি লিজ নিয়ে নতুন করে বাগান সম্প্রসারণ করেছিলাম। এ বছরও আরো কিছু জমি লিজ নিতে খোঁজাখুঁজি চলছে।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, বরেন্দ্র অধ্যুষিত হওয়ায় এ জেলায় পানির তীব্র সংকট। তাই চাষীরা জমিতে কেবল বৃষ্টিনির্ভর আমন ধানই চাষ করতে পারতেন। বাকি সময় সেই জমি তেমন কাজে আসত না। আম চাষ লাভজনক হওয়ায় চাষীদের অনেকেই এখন তাদের ধানি জমিতে আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। দেশের বাজারসহ বিদেশে ন্যায্যমূল্যে আম বিক্রি করে তারা লাভবান হচ্ছেন।
তিনি বলেন, জেলার বেশির ভাগ বাগানের বয়স পাঁচ-সাত বছর। প্রতি বছরের মতো এ বছরও অনেক চাষী নতুন করে ধানি জমিতে আমের বাগান সম্প্রসারণ করছেন। বিশেষ করে আমাদের বরেন্দ্র অধ্যুষিত উপজেলার চাষীরা বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ শুরু করেছেন।
ধানি জমি আমের দখলে চলে যাওয়ায় দেশের মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য চাল উৎপাদনে প্রভাব পড়বে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষি কর্মকর্তা আবু হোসেন বলেন, সাপাহারসহ কয়েকটি উপজেলায় ধানি জমিতে আমের বাগান হয়েছে কেবল। এতে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তাছাড়া জেলার বেশকিছু উপজেলায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় ধান উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আর যে জমি যেসব ফসলের জন্য উপযুক্ত, সেখানে সে ফসল বা ফল চাষ করাই ভালো। আম চাষ করে যেহেতু ওই অঞ্চলের চাষীরা লাভবান হচ্ছেন, তাই তাদের আম চাষ করাই ভালো। জেলায় আমকেন্দ্রিক বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই দেশের বৃহত্তর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নওগাঁয় জুস কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানান তিনি।

দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Tags: ধান চাষে খরচ বাড়ায় ধানী জমিতে আম চাষ
প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন
Previous Post

কাতার বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশের পথশিশুরা

Next Post

ছাত্রাবাস থেকে তরুণীসহ কলেজের অফিস সহকারী আটক

Related Posts

কলাপাড়া উপকূলে কৃষিতে সাড়া ফেলেছেন আদিবাসী রাখাইন মংখেলা
কৃষি

কলাপাড়া উপকূলে কৃষিতে সাড়া ফেলেছেন আদিবাসী রাখাইন মংখেলা

ঝিনাইদহে টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে ফসলি জমি
কৃষি

ঝিনাইদহে টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে ফসলি জমি

সাপাহার দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে” মা ও মাটি এগ্রো ফার্মে”র স্টল
কৃষি

সাপাহার দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে” মা ও মাটি এগ্রো ফার্মে”র স্টল

Next Post
ছাত্রাবাস থেকে তরুণীসহ কলেজের অফিস সহকারী আটক

ছাত্রাবাস থেকে তরুণীসহ কলেজের অফিস সহকারী আটক

Discussion about this post

সর্বশেষ সংবাদ

কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবি

কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবি

ভেড়ামারায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

ভেড়ামারায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁওয়ে ৩শ’ বস্তা সরকারি সারসহ ট্রাক আটক

ঠাকুরগাঁওয়ে ৩শ’ বস্তা সরকারি সারসহ ট্রাক আটক

কুড়িগ্রামে মাদক প্রতিরোধ কমিটির যাত্রা শুরু

কুড়িগ্রামে মাদক প্রতিরোধ কমিটির যাত্রা শুরু

গহিন অরণ্যে ৩০টিরও বেশি প্রাচীন গিরিখাত

গহিন অরণ্যে ৩০টিরও বেশি প্রাচীন গিরিখাত

আর্কাইভ

August 2025
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
« Jul    

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ আব্দুল বারী
ইমেইলঃ dtbangla@gmail.com

Mobile No- +88 01710862632
ঢাকা অফিসঃ ৩৩ কাকরাইল (২য় তলা)
ভিআইপি রোড, কাকরাইল ঢাকা -১০০০
প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠানোর ইমেল:
newsdtb@gmail.com
কুষ্টিয়া অফিস: দৈনিক দেশতথ্য
দাদাপুর রোড (মজমপুর)
(কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের সামনে)
মোবাইল:01716831971

Copyright © 2024 dailydeshtottoh All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্থানীয় খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার

Copyright © 2024 dailydeshtottoh All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist