কুষ্টিয়ার দৌলতপুর প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে সময়োপযোগী চিকিৎসাসেবা না দেওয়াসহ শত অভিযোগ করেন খামারিরা।
খামারিরা জানায়, প্রতিটি খামার করতে তাদের ঘাম ঝরানো পরিশ্রম ও প্রচুর অর্থ খরচ করতে হয়। খামারে কোনো রোগের উপদ্রব হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাতে জানালে অফিস থেকে টিকা ছাড়া আর কোনো ওষুধ কিংবা চিকিৎসাসেবা সময়মতো পান না তারা। স্বেচ্ছায় কোনো কর্মকর্তা খামার পরিদর্শন করেন না। প্রয়োজনে একাধিকবার ফোন করলেও একবার আসেন। সেক্ষেত্রে প্রতিবার ভিজিট দিতে হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া গৃহপালিত বা খামারের গাভি অসুস্থ হলে নির্ধারিত অংকের ভিজিট দিয়ে বাড়ি নিয়ে আসতে হয় এই কর্মকর্তাকে। সরকারি বরাদ্দকৃত ওষুধ প্রয়োগ করেও টাকা আদায় করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
সম্পত্তি লাম্পি স্কিন নামের একটি রোগ ছড়িয়ে পড়ে দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গরুর মাঝে। সেই রোগে অনেক গরু মারা গেলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কোন তদারকি ছিলনা বলে অভিযোগ করেন খামারিরা।
এছাড়া তিনি সরকার কর্তৃক বাসা ভাড়া বাবদ খরচ পেলেও নিয়োম নীতির তোয়াক্কা না করে মাসের পর মাস রাতদিন থাকছেন অফিসের আবাসিক রুমে। যেখানে থাকার কথা কম্পাউন্ডার/ ভিয়েসের। এছাড়াও আবাসিক রুমে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিয়ে আড্ডা মারার অভিযোগও রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই উপজেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল ইসলামের কাছে অভিযোগের কথা মুঠো ফোনে জানতে চাইলে অফিসের আবাসিক রুমে রাত্রি যাপনের কথা স্বীকার করে প্রতিবেদনককে সরাসরি অফিসে তার সাথে দেখা করার কথা বলেন এবং নিউজ না করার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন তিনি।
জা// দৈনিক দেশতথ্য// ১ নভেম্বর, ২০২২//

Discussion about this post