কুমারখালীতে এক প্রতিবন্ধীকে ভাতা কার্ড করে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে বসতবাড়ির জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছিল স্কুল শিক্ষক আসলাম ও প্রতিবেশী মজনু। দলিল লেখক রাজুর সহায়তায় তারা ওই জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়। এর ১৩ দিন পর তারা জমি ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং এলাকাবাসীর চাপে মঙ্গলবার ওই প্রতিবন্ধির জমি তারা রেজিস্ট্রির মাধ্যমে ফিরিয়ে দিয়েছে।
ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর নাম আবেদিন। তার ভাই শুকুর আলম জানান, আসলাম মাস্টার ও মজনু গত মঙ্গলবার তার ভাইকে নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে জমি ফেরত দিয়েছে। জমি ফেরত পেয়েছেন কি-না তা জানতে দলিলের নকল তুলতে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে দলিল লেখক রাজু জানান, আবেদীন তার এক আত্নীয়কে সাথে নিয়ে এসে ১৮ অক্টোবর আসলাম মাস্টার ও মজনুর নামে ১ শতক ৬৫ পয়েন্ট জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। পরবর্তীতে এই জমি আবেদীনের নামে ফেরত দেবার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে চাপ সৃষ্টির কারনে আসলাম মাস্টার ও মজনু মঙ্গলবার জমি ফেরত দিয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ১৮ অক্টোবর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আবেদীনের বাড়ির জমি ভাতা কার্ড করে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে সোন্দাহ নন্দলালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আসলাম উদ্দিন ও প্রতিবেশী মজনু দলিল লেখক রাজুর মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে নেয়।
আবেদীনের পরিবার জমি ফেরত পেতে ও দলিল বাতিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সাব- রেজিস্ট্রারের কাছে দরখাস্ত দেন। এছাড়াও এলাকার সচেতন মানুষ আবেদীনের জমি ফেরত দেওয়ার জন্য প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//নভেম্বর ০২,২০২২//

Discussion about this post