শেখ নাদীর শাহ্,পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি:খুলনার পাইকগাছায় প্রভাত কুমার দাশ নামে এক দ্বৈত নাগরিকের বিরুদ্ধে জমি বিক্রির কথা বলে টাকা নিয়ে জমি কিংবা টাকা কোনটাই না দিয়ে অন্যত্র জমি বিক্রি করে ভারতে পাড়ি জমানোর অভিযোগ উঠেছে।
প্রতারণার শিকার একই এলাকার মো: মারুফ গাজী বাধ্য হয়ে এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অভিযোগে জানানো হয়, উপজেলার হরিঢালীর মামুদকাটি গ্রামের মৃত অনিল কুমার দাসের ছেলে ডা: প্রভাত কুমার দাশ ও তার ভাই রাম কৃষ্ণ দাশ ১৯৮৯ সালের দিকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ভারতে যান। এরপর প্রভাত বছরের কিছু দিন বাংলাদেশে অবস্থান করলেও রামকৃষ্ণ ভারতের নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানেই বসবাস করে আসছেন। অন্যদিকে একই মামুদকাটি এলাকার মো: আনার গাজীর ছেলে মারুফ গাজী এদেশের তাদের জমি-জমা দেখা শুনা করে আসছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রভাতের জরুরী টাকার প্রয়োজনে মাহমুদকাটি মৌজায় মৃত জিতেন্দ্রনাথ দাসের ছেলে অনিল কৃষ্ণ দাস ও তার ভাই গোলক বিহারী দাসের নামে এসএ ৪৭৫ খতিয়ানে ৫ দাগে ৩.১৩ একর, ৪০৪ খতিয়ানের ৮৮৫ দাগে ৪১ শতক, ২৯৭ খতিয়ানে ৯৩ শতক, ২৯৮ খতিয়ানে ৪৪ শতক,৪০৩ খতিয়ানে ৭১ শতক ও ৪০২ খতিয়ানে ৩.২৬ একর যা বিআরএস জরিপে প্রভাতের পিতা অনিল কৃষ্ণ দাসের নামে ৯১ খতিয়ানে মোট ১৯ দাগে ৬.৬৩ একর জমির রেকর্ড প্রস্তুত হয়। যেখানে তার অংশের প্রায় ১০ বিঘা জমির মধ্য থেকে ২ বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা বলে উক্ত মারুফ গাজীর নিকট থেকে বিভিন্ন কিস্তিতে ১০ লক্ষ টাকা নেয়। সর্বশেষ সিকিউরিটি স্বরুপ অগ্রণী ব্যাংক লিঃ কপিলমুনি শাখার একটি চেক ও জমির রেকর্ডের একটি ফটোকপি ধরিয়ে দেন তাকে।
অভিযোগে জানানো হয়, সম্প্রতি প্রভাত কুমার দাশ বাড়িতে এসে মারুফকে জমি না দিয়ে অন্যত্র জমি বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে মারুফ গাজী তার কাছে জমি রেজিস্ট্রি কিংবা টাকা ফেরৎ চাইলে প্রভাত নানা টালবাহানা শুরু করেছেন। বাধ্য হয়ে তিনি প্রভাতের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এব্যাপারে প্রভাত দাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, মারুফের সাথে তার কোন লেন-দেন নেই। এমনকি তার একটি চেক বই হারিয়ে গেছে যার একটি পাতা মারুফের কাছে থাকতে পারে। এসময় চেকের পাতায় স্বাক্ষরের ব্যাপারে তিনি বলেন, অগ্রণী ব্যাংক থেকে তার একটি লোন করা ছিল। সেখান থেকেও তারা চেকের পাতাটি সংগ্রহ করে থাকতে পারে। ভারতের দ্বৈত নাগরিত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, তিনি আদৌ ভারতের নাগরিক নন।
সূত্র জানায়, প্রভাত ও তার ভাই রামকৃষ্ণ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাদুড়িয়া ইউনিয়নের চাতরা এলাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। তবে এসব ব্যাপারে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন, প্রভাত দাশ।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post