লাইসেন্স ছাড়া কেউ ধান-চালের ব্যবসা এবং মজুত করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, চাল ব্যবসায়ীরা প্রতি সপ্তাহে যা ব্যবসা করবেন সেই পরিমাণ আয়কর রিটার্ন সরকারের কাছে জমা দিতে হবে।
যেসব মিলার চাল প্যাকেটিং করবেন তারা তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডিংয়ে চাল বাজারজাত করতে হবে। অন্যের মোড়কে ব্যবহার করা যাবে না। কেউ অবৈধভাবে ধান-চাল মজুত করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা থেকে ভার্চূয়ালী যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।
এসময় জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান এর সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহীর আ লিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারুক হোসেন পাটওয়ারী, সদর উপজেলা খাদ্য গুমাদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মাসুদ রানা, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ¦ রফিকুল ইসলাম রফিক ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার, ধান-চাল আড়ৎদার মালিক সমিতির সভাপতি নিরোদবরণ সাহা চন্দনসহ জেলার বিভিন্ন মিল মালিক, স্থানীয় কৃষক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁ জেলা ছাড়াও দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, নেত্রকোনা জেলায় ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী। পরে নওগাঁ সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকদের থেকে ধান কেনা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবছর আমন মৌসুমে ২৮ টাকা কেজি দরে ১১ হাজার ৪৫৪ মেট্রিক টন ধান এবং ৪২ টাকা কেজি দরে ২২ হাজার ১৩৬ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ধান এবং ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত চাল কেনা হবে।
জেলার সদর, মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর, রানীনগর ও পোরশাসহ পাঁচটি উপজেলায় কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করা হবে। অন্য উপজেলাগুলোতে সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত কৃষকদের তালিকা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ করা হবে।
বা// দৈনিক দেশতথ্য// ১৯ নভেম্বর//

Discussion about this post