কুষ্টিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বকুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বকুল হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা ১৪ নং খলিসাকুন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, আসছে বার্ষিক পরীক্ষার নামে বিদ্যালয়ের প্রথম- ২য় শ্রেনীর সকল ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে ৫০ টাকা এবং ৩য়- ৫ম শ্রেনীর সকল ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে ৯০ টাকা করে উত্তোলন করেছেন।
গরিব ছাত্র-ছাত্রীরা টাকা দিতে ব্যার্থ হওয়ায় তাদের পরিক্ষা দিতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ার করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা জানতে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা সাংবাদিকদের কাছে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের প্রধান শিক্ষক বকুল স্যার বলেছেন সামান্য টাকা দিতে না পারলে তোমরা স্কুলে আসবা না।
আরও বলেন- আমরা আপনাদের সামনে কথা বলেছি তিনি জানতে পারলে আমাদের মারধর করে স্কুল থেকে বের করে দিতে পারে। নাম বলবেন না বলে ভয়ে দৌড় দিয়ে ক্লাসে ডুকে যায়।
ভুক্তভোগী ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকের কয়েকজন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, বকুল স্যার আমাদের খলিসাকুন্ডির ছেলে, সে কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে বীরদর্পে অনিয়ম করে যাচ্ছেন। বর্তমানে আমাদের সন্তানরা চরম উৎকন্ঠার মধ্যে আছেন। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে এই স্কুল থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক বকুল হোসেন বলেন, আমি নিজের ইচ্ছামত চলি না। যাই করি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় করেছি।
তবে দৌলতপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (টিএনও) সাইদা ছিদ্দিকা বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে পরিক্ষা ফিসের নামে কোন প্রকার অর্থ নেওয়ার কথা নেই। অভিযোগ প্রমানিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Discussion about this post