মোঃ রাসেল, বরগুনাঃ বরগুনা জেলার সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ডাকাত পড়ার মাইকিং করা হয় । এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বরগুনাবাসী। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নজরদারী ও টহল কার্যক্রম বাড়িয়ে দেয়।
বরগুনা সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খবর নিয়ে জানা যায়, বুধবার রাত ৮ টার দিকে ঠলুয়া ইউনিয়নে মাইকিং এর মাধ্যমে ডাকাত দলের হানা দেওয়ার খবরে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রচার চালানো হয়। যা মুহুর্তের মধ্যে গোটা সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ে এবং একের পর এক মসজিদে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রচারণা চালানো হয়।
ঠলুয়া ইউনিয়নের খাকবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা মিরাজ মৃধা বলেন, হঠাৎ করেই মাইকিং শুনতে পাই যে আমাদের ইউনিয়নে ডাকাত ঢুকেছে। এবং মাইকিং এর মাধ্যমে আমাদের সচেতন থাকতে বলা হয়। মাইকিং শোনার পর থেকে আমরা সবাই ভয়ে আছি এই বুঝি ডাকাত হামলা করলো।
ঠলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডে মেম্বার মোকলেসুর রহমান বলেন, ডাকাত পরার খবর আমাদের চেয়ারম্যান জানিয়ছেন। এবং এর পর থেকে আমরা এলাকার লোকজন ও গ্রাম পুলিশ নিয়ে টহল দিচ্ছি অপরিচিত কাউকে দেখতে পেলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঠলুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক স্বপন বলেন, আমাকে বরগুনা সদর থানা থেকে সর্তক কর হয় যে আমার ইউনিয়ন আজকে সম্ভবত ডাকাত দল ঢুকতে পারে । খবরটি পাওয়ার সাথে সাথে আমার ইউনিয়নে পাচটি মাইক নামিয়ে দেই মাইকিং এর জন্য এবং অন্যদিকে জানতে পারি বড়ইতলা ফেরীঘাট থেকে একটি অপরিচিত ট্রলারে করে ৬ জন অপরিচিত লোক ঢুকেছে আমার ইউনিয়নে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদেরকে ধরতে পারা যায়নি। আমার ইউনিয়ন এর প্রতিটা এলাকার ইউপি মেম্বর, গ্রাম পুলিশ, এলকাবাসী সহ আমি টহল দিচ্ছি।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মদ বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি হচ্ছে। এর পরিপেক্ষিতে আমরা জনগনকে সচেতন করার জন্য প্রচার চালাচ্ছি এবং সদর থানা পুলিশসহ ডিবি পুলিশের দুটি টিম ঠলুয়া ইউনিয়নসহ বরগুনা সকল ইউনিয়নে টহল বারিয়েছি।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post