মসিয়ার রহমান কাজল,বেনাপোল:
যশোরের র্শাশা উপজেলার এক কৃষক আবু সাঈদ ওরফে মানিক রাজা। এ প্রথম লাঠি মরিচ (ঝাল) চাষ শুরু করেছেন।
খেতে সু-স্বাদু দেখতে বড় এই প্রথম লাঠি মরিচ বা সিমলা মরিচ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন র্শাশা উপজেলার লক্ষনপুর গ্রামের কৃষক আবু সাঈদ ওরফে (মানিক রাজা)।
১৫ শতাংশ জমিতে এই লাঠিমরিচ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন, এলাকায় দেখিয়েছেন চমক।
কাঙ্খিত ফলন ও অধিক দাম পাওয়ায় আগামীতে আরো এই মরিচ চাষ বৃদ্ধিসহ রফতানির স্বপ্ন দেখছেন এলাকার বিভিন্ন চাষী ও ব্যবসায়িরা
দেশে-বিদেশের নামিদামী হোটেল, রেষ্টুরেন্টসহ বিভিন্ন খাদ্যে,সালাত ও সবজি হিসাবে ব্যবহারে এ মরিচের চাহিদা ও কদর রয়েছে ভাল।
ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসে এ মরিচ। এবার ভারতের পুনে এলাকা থেকে আনা নতুন জাতের লাঠি মরিচি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন র্শাশার কৃষক মানিক রাজা।
দেখতে মোটা মরিচ মনে হলেও খেতে মোটেও ঝাল নয় মিষ্টি ও সু-স্বাদু।
লাঠি মরিচ নামে এ মরিচে রয়েছে পুষ্টিগুন। ক্যাপসিকামের মত এই মরিচ সবজি বা সালাত করে খাওয়া যায়। এ জাতের মরিচ মিষ্টি মরিচ নামেও পরিচিত। র্পাশ্বর্বতী দেশ ভারতে এই লাঠি মরিচ বা সিমলা জাতের মরিচের চাষ বেশি হওয়ায় সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করেন মানিক রাজা।
বাংলাদেশে আবহাওয়ায় প্রথম বারের মতো বীজ থেকে চারা তৈরি করে সফলও হয়েছেন মানিক রাজা। মাত্র ৪৫ দিনেই পাওয়া যায় ফলন। ক্ষেতের প্রতিটি গাছে ঝুলে আছে বড় বড় সাইজের মিষ্টি লাঠি মরিচ। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে ৫গুন লাভের ফসল এ মরিচ।
উৎপাদন ভালো এবং বাজারে এর চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।আগামীতে আরো অনেক জমিতে এই মরিচের আবাদ বৃদ্ধির আশা চাষী রাজা সহ এলাকার সাধারণ কৃষকের।
র্শাশা উপজেলা কৃষি র্কমর্কতা প্রতাপ কুমার মন্ডল বলেন, বাংলাদেশে আবহাওয়ায় ভাল হওয়ায় র্শাশা উপজেলার মাটিতে এই প্রথমবারের মতো ক্যাপসিকামের পরেই চাষ হচ্ছে মিষ্টি লাঠি মরিচ। আগামীতে বিস্তার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে কৃষক দের প্রশিক্ষন,পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হবে।বিদেশের মাটিতে নয় দেশের মাটিতেই ফলছে লাঠি মরিচ বা মিষ্টি মরিচের মতো বিভিন্ন জাতের বিদেশি সবজি।এর ফলে ঘুচবে বেকারত্ব উপকৃত হবে দেশের সকল মানুষ।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post