চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: সাধারন জনগন যখন নিত্যপণ্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চরমভাবে জর্জরিত সেখানলওয়ের সেবা না বাড়িয়ে ও ভোগান্তি নিরসন না করে ২৫ জানুয়ারি থেকে শোভন চেয়ার শ্রেণির ৩৮০ টাকার ভাড়া নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০৫ টাকা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কোচে আসনপ্রতি ভাড়া ৭০ টাকা বাড়িয়ে ৬৩০ টাকার ভাড়া হয়েছে ৭০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত দাবি জানান।
২৮ জানুয়ারি ২০২৩ইং গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, প্রমুখ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, রেলপথ যোগাযোগের একটি গুরুত্বপুর্ন মাধ্যম হলেও রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, যাত্রীর স্বার্থ রক্ষায় চরম উদাসীনতা, অনীহা, রেল বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সীমাহীন অনিয়ম-দুনীর্তিকে অব্যাহত রাখার জন্য রেল বিভাগ যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে আন্তরিক নয়। যার কারনে রেলের ভাড়া দ্বিগুন করা হলেও সেবার মান বাড়েনি।এমনকি মান্দাতার আমলের সেই কোটা পদ্ধতি, টিকেট বিক্রয়ে সিন্ডিকেট প্রথা অব্যাহত আছে। যার কারনে রেলের টিকেট যাত্রীদের জন্য সোনার হরিন হলেও কালোবাজারীদের কাছে অতিসহজলভ্য হয়ে আছে। অনলাইনে টিকেট ছাড়ার পর সবগুলো বিক্রি দেখালেও ট্রেন ছাড়ার পর অনেক সীট খালি থাকে এবং লোকসানের সব দায়ভার রেলওয়ের ঘাঁড়ে যায়।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post