নিজস্ব প্রতিনিধি: কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং পোকার আক্রমণ থেকে মুকুল রক্ষা করা গেলে আমের ‘বাম্পার’ ফলন।
যশোরের শার্শায় আম বাগানগুলোর গাছে ভরে গেছে আমের মুকুলে। চাষিরা মুকুল রক্ষায় গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পোকা ও ছত্রাকের আক্রমণ থেকে ফলন রক্ষায় কীটনাশক দিচ্ছেন গাছে। মুকুল বেশি আসায় এ বছর আম উৎপাদন রেকর্ড গড়বে বলে আশা করছেন চাষিরা।
শার্শার গ্রামগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, বাগান ছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায় ও পুকর পাড়ে সব আম গাছে হিমসাগর, গোবিন্দ ভোগ, অম্রপালি, ফজলি ও ল্যাংড়াসহ নানা জাতের আমের মুকুল ভরে গেছে।মুকুল ধরে রাখা, ও গুটিকে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষায় আম চাষিরা বিরামহীন ভাবে পরিচর্যা করছেন।
শার্শা উপজেলায় দুই হাজারেরও বেশি আমচাষি সাত হাজার বিঘা জমিতে এবার আমচাষ করেছেন বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মণ্ডল বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর এই অঞ্চলের গাছগুলোতে প্রচুর মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং পোকার আক্রমণ থেকে মুকুল রক্ষা করা গেলে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।”তিনি আরো বলেন বিভিন্ন জাতের তিন হাজার ১৪৪টি আমের বাগান শার্শা উপজেলায় আছে।
বাগআচড়া মাঠপাড়ার নূর ইসলাম ‘বারোমাসি আম চাষ করেছেন ৯ বিঘা জমিতে। এর মধ্যে ৩ বিঘা জমিতে ‘কাটিমন’। ৬ বিঘা জমিতে বারি-১১ জাতের আম চাষ করেছেন। এক লাখ টাকা খরচ করে তিন লাখ টাকা আম বিক্রিয়া স্বপ্ন দেখছেন।
নুর ইসলাম বলেন, “চার বছর আগে বাগানটি তৈরি করেছি, মোট এক হাজার ৮০০ গাছ আছে। প্রতিটি গাছেই আম ধরেছে। কিছু দিনের মধ্যে পেকেও যাবে। বছরে দুবার আম পাওয়া যায়। এখন প্রত্যেকটি গাছে অন্তত এক মণ করে আম পাওয়ার আশা করছি।
বেনাপোল সাদীপুর গ্রামের আমচাষি মিয়ারাজ সর্দার জানান এ বছর আম গাছগুলোতে প্রচুর মুকুল আসায় আমের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post