তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আজকে দেশ বদলে গেছে। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে কয়েক হাজার মানুষ সরকারের নানা সামাজিক কর্মসূচির উপকারভোগী। গ্রামের প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। শুধু মূল সড়ক নয়, এখন মানুষের বাড়িতে যাবার রাস্তাও পাকা হয়েছে। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে-মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের এ সব উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে।
গতকাল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভাসহ ছয়টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলের নেতারাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ, দলের রক্ত সঞ্চালন করেন আপনারাই। গ্রামে-গঞ্জে-মহল্লায় আমাদের দলকে আপনারাই ধরে রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আপনাদের মাধ্যমেই আজকে যুগ যুগ ধরে দল টিকে আছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৪ বছরে রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৯ সালে যখন আমি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই তখন আমার বাড়িতেও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। আজকে প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে সারাদিন লেগে যেত, এখন এক ঘন্টায় যাতায়াত করা যায়। আগে যারা রাঙ্গুনিয়া থেকে ভোট নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তারা এ সব উন্নয়ন করেননি। তিনি বলেন, সরকার এবং দলের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেশের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় দৌড়াতে হয় আমাকে, তারপরও নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় প্রতি সপ্তাহে আসি, শুধু রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়নের জন্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ার এমন একটি স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসা নেই যেটাতে নতুন বিল্ডিং হয়নি। এমন কোনো মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা নেই যেটি কয়েক দফা উন্নয়ন বরাদ্দ পায়নি। সারাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে সবগুলো সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারণে। করোনাকালে বর্তমান সরকার বিনা পয়সায় টিকা দিয়েছে, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেছে। আমার পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পৌনে দুই কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছি রাঙ্গুনিয়ায়।’
নির্বাচন সন্নিকটে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনা-বন্যাসহ কোনো দুর্যোগে বিএনপিকে দেখা যায়নি, তারা কারো দরজায় একমুঠো চাল নিয়ে যায়নি। কিন্তু ভোট আসলে শীতের পাখির মতো ধান খেতে আবার তাদের এলাকায় দেখা যাবে। কিন্তু সরকার এবং আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কথা ঠিকভাবে তুলে ধরলে আগামী নির্বাচনে মানুষ নৌকা মার্কা ছাড়া অন্যখানে ভোট দেবে না। বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবার চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হবে ইনশাল্লাহ।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগ নেতা এমরুল করিম রাশেদ ও মোহাম্মদ সেলিমের সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতী, শাহজাহান সিকদার, মোহাম্মদ আলী শাহ, ইদ্রিছ আজগর প্রমুখ।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মার্চ ৩১,২০২৩//

Discussion about this post