শেখ সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট: পবিত্র রমজান মাসে বিএসএফের হত্যাকান্ড হতে রক্ষা পেল না বুগিমারী সীমান্তের রবিউল(৫৫)। চোরাই পথে গরু আনতে গিয়ে প্রাণ নিল বিএসএফ ।
এ ঘটনায় আজ রবিবার গ্রামটিতে তীব্র উত্তোজনা বিরাজ করছে। গ্রামটিতে আইনশৃংখলাবাহিনী নজরদারীতে রেখেছে। স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। এটিকে সরকার বিরোধী ইস্যূ তৈরিতে উগ্রমৌলাবাদ জামাত বিএনপি উঠে পড়ে লেগেছে।
জানা গেছে, বুড়িমারী ইউনিয়নটি উগ্রমৌলবাদ, বিএনপি, জামাত চক্রের ঘাঁটিতে পরিনিত হয়েছে। দুই বছর আগে সেখানে মিথ্যা কোরআন অবমাননামার প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে কলহ শিক্ষককে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। কথায় কথায় সেখানে ধর্মীয় সহানুভতি পেতে মিথ্যা ধূয়াতুলে সংঘাত সৃষ্টি করতে উঠে পড়ে লেগে যায়।
জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ১১ টায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার তিস্তা ব্যাটালিয়ন – টু (৬১ বিজিবি) এর শমসেরনগর বিওপির আন্তর্জাতিক সীমান্ত মেইন পিলারের ৮৬৪ হতে ১০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে মেডিকেল ব্রীজ নামক স্থানে রবিউল ইসলাম(৫৫) বিএসএফের গুলি বিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। এসময় অপর চোরাকারবারী শহিদুল ইসলাম (৩০) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সতীর্থরা রেসকিউ করে নিয়ে আসে। এখন তার অজ্ঞাত স্থানে রংপুরে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১১ টায় ঝড়বৃষ্টির রাতে বাংলাদেশী চোরাকারবারী গ্রুপের একটি কোটার বা বাঁশের চৌকির কয়েক সদস্য (৮/১০ জন) চোরাকারবারির অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভারতীয় গরু চোরাই পথে আনতে যায়। এসময় কুচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার ১৬৯ বিএসএফ ব্যাটেলিয়ান চুঙ্গারখাতা ক্যাম্পের টহল দলের সামনে পড়ে যায়। চোরাকারবারী দলটি ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়া কেটে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে ছিল। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাইন্ড গুলি ছুঁড়ে এর মধ্যে দুই রাইন্ড গুলি দুই জন চোরাকারবারী দেহে এসে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে বাংলাদেশী চোরাকারবারী মোঃ রবিউল ইসলাম (৫৫) নিহত হয়। সে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের কলাবাগান গ্রামের চেনুমিয়ার ছেলে। আহত শহিদুল একই গ্রামের হেদুল মিয়ার পুত্র। তার বাম পায়ে গুলি লেগেছে। নিহত ব্যক্তির মরদহ পাটগ্রাম থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়ে।
ওসি ওমর ফারুক জানান, ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা দায়ের করা হবে। রংপুরে চিকিৎসাধীন আহতের খোঁজ করা হচ্ছে।
এদিকে বুড়িমারী সীমান্ত গ্রামের স্কুল শিক্ষক আব্দুস সোবাহান বলেন, বিএসএফ রাতে সীমান্তে সঠিক ভাবে টহল ডিউটি হয়ত দেয় না। এই দূর্বলতার সুয়োগ নিয়ে চোরাকারবারীরা অবৈধ অর্থ আয়ের লোভ সংবরণ করতে না পেওে বারবার মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছে। পশুর জন্য মানুষ হত্যা খুবেই দূঃখজনক।
জনপ্রতিনিধি ও কথাকথিত সংবাদ কর্মীরা এই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার নজিরও রয়েছে। তারা মান ভাঙ্গিয়ে নানা অপকর্ম কওে যাচ্ছে। বিজিবি তিস্তা টু , ৬১ ব্যাটালিয়নের , রংপুরের অধিনায়ক কে ফোন দিলে তার ফোন সৈনিক সাইফুল রিসিভ করে বলেন , স্যার ব্যস্ত আছেন পরে ফোন দিবেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post