মনপুরা (ভোলা) সংবাদদাতা : ভোলার মনপুরায় উপজেলা আওয়ামীলীগের পুর্ব নির্ধারিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শান্তিপুর্ন সমাবেশে আসতে শুরু করে উপজেলা আ’লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। এই দিকে একই দিন বিএনপির অবস্থান কর্মসূচী থাকায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করার জন্য নেতাকর্মীরা একটি নির্ধারিত স্থানে জড়ো হয়। যার ফলে আ’লীগ ও বিএনপির মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের হামলায় উপজেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচী পন্ড হয়ে যায়। এতে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবী করেন মনপুরা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সেলিম মোল্লা। হামলা চালিয়ে উপজেলা যুবদলের বাড়ীতে বিএনপির অবস্থান কর্মসুচীতে থাকা চেয়ার ভাংচুরের অভিযোগ করেন তিনি।
শনিবার বেলা ১২ টায় দিকে পুরান হাসপাতাল সংলগ্ন সড়ক দিয়ে উপজেলা বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করতে আসা কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নয়ন ফিরে যাওয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শামসুদ্দিন মোল্লা, উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ছালাউদ্দিন প্রিন্স, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জামাল মেম্বার, যুবদলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা সেলিম, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মোঃ মিজান, যুবদল নেতা মহিউদ্দিন, ওবায়দুল, বাহার, নুরনবী, ইলিয়াস, স্বেচ্ছাসেবক দলের তুহিন, ছাত্রদলের শুভ ফরাজীর নাম পাওয়া যায়।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান হাওলাদার জানান,শনিবার সকাল ১০ টার দিকে অবস্থান কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করতে আসা কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নয়ন সহ নেতাকর্মীরা জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে অবস্থান নিয়ে উপজেলা বিএনপির অফিসের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালনে প্রস্ততি নেয়। এই সময় যুবলীগ-ছাত্রীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঠা নিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ে মহড়া দেয়। পরে কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন চলে যাওয়ার পথে হামলা চালিয়ে ২৫ নেতা-কর্মীকে আহত করে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়া ভোলা প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে এই ঘটনার সাথে আওয়ামীলীগসহ যুবলীগ-ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলে দাবী করে উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন ।
উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির জানান, উপজেলা বিএনপি আলম-নয়ন গ্রুপে বিভক্ত। তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে এখন আওয়ামীলীগের ওপর দায় চাপাতে চায়।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) লুৎফুর রহমান জানান, দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির মধ্যে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। তবে এই ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post