যশোরে প্রতিনিধি: যশোরের শার্শার শিকারপুর গ্রামেমালচিং পদ্ধতিতে হাইব্রিড শসা উৎপাদন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থী মনজুরুল আহসান।
সে শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, মনজুরুল আহসান স্থানীয় সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষি কাজে মনোযোগী হন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়ির পাশে ৫০ শতক পতিত জমিতে শসার আবাদ শুরু করেন। সেখানে বর্তমান প্রায় ৫-৭ জন বেকার মানুষের কর্মস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
মনজুরুল আহসান জানান, বগুড়া থেকে এগ্রো ওয়ান লিমিটেড এর থেকে প্রশিক্ষণ শেষে সাবিরা জাতের শসার বীজ বপন করেন। মালচিং পদ্ধতিতে বেড তৈরি এবং রাসায়নিক ও জৈব সার একসাথে প্রয়োগ করে আবাদকৃত জমি পলিথিনের মালচিং সেড দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।এতে অতি বৃষ্টিতেও মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয় না। এ পদ্ধতিতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কম হয়।
সাবিরা জাতের শসা রোপণের ৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসে ও ৬৫ দিন পর্যন্ত ভালো ফলন পাওয়া যায়। অন্যান্য জাতের হাইব্রিড শসার জীবনকাল ৭৫-৮০ দিন। কম সময়ে ফলন বেশি।
পবিত্র মাহে রমজান মাস সহ বারো মাসেই শসার ব্যাপক চাহিদা থাকে এবং দাম ও ভালো পাওয়া যায়। চলতি মৌসুমে পাইকারি হিসেবে প্রায় ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ থেকে সহযোগিতা পেলে কৃষিতে আরও সাফল্য ঘটানো সম্ভব বলে মনজুরুল আহসান মনে করেন।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল জানান, চলতি মৌসুমে শার্শা উপজেলায় ১৬৫০ হেক্টর জমিতে সবজি উৎপাদন হয়েছে। এবং ৫০ হেক্টর জমিতে শসা উৎপাদন হয়েছে। মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ আধুনিক চাষ পদ্ধতি। এই পদ্ধতি ব্যবহারে জমিতে সার ও সেচ অন্যান্য পদ্ধতির থেকে কম লাগে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় রোগবালাই ও অনেক কম। আগাছা দমন হওয়ার জন্য এই পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো কাজ হয়।
মনজুরুল এর বিষয়টি শুনেছি। সরেজমিনে মনজুরুলের শসার মাঠ দেখতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
২.খেলাফত মজলিস আমিরের মৃত্যুতে এনএসবি পার্টির শোক
নিজস্ব প্রতিবেদক:খেলাফত মজলিসের আমির ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সাবেক মহাপরিচালক শায়খুল হাদিস অধ্যাপক মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টি’র চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহ আলম তাহের এবং মহাসচিব সৈয়দ আহমদ শফী আশরাফী।
৭ এপ্রিল শুক্রবার এক শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, কুরআন-হাদিস প্রচার-প্রসারে ব্যাপক অবদান রয়েছে মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরীর। অপরিসীম ত্যাগ ও অবদান জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের এক অনন্য রাহবার। মাওলানা যোবায়ের চৌধুরীর ইন্তেকালে জাতি একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালো।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post