খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি (ভরত চন্দ্র) সরকারি হাসপাতাল থেকে
এবার সরবরাহ করা হলো মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকালে
উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর থেকে জনৈকা মা তার ৫ মাসের অসুস্থ্য শিশু
ছিয়ামকে নিয়ে কপিলমুনি ভরত চন্দ্র হাসপাতালে যান। সেখানে সিরিয়াল অনুযায়ী
মেডিকেল অফিসার ডা: মো: মাহাবুবুর রহমান তার ব্যবস্থাপত্রে মেট্রোনিডাজল
সাসপেনশন সিরাপ লেখেন।
এরপর হাসপাতালের ফার্মেসী বিভাগ থেকে ব্যবস্থাপত্রসহ ওষুধ নিতে গেলে
সেখানকার ফার্মেসিস্ট আনন্দ মোহন বিশ্বাস শিশুটির জন্য এসনসিয়াল গ্রুপ
কোম্পানী লিমিটেড এর একটি মেট্রোনিডাজল সাসপেনশন সিরাপ দেন। বাড়ি নিয়ে
শিশুটিকে মা তাকে নিয়মানুযায়ী প্রথম ডোজ ওষুধ খাওয়ানোর পর তার পিতা
শাহিনুর রহমান বাড়ীতে গিয়ে ব্যবস্থাপত্রসহ ওষুধের বোতলটিতে দেখেন আরো
প্রায় ৬ মাস আগে ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
বিষয়টি দেখে তিনি তার শিশু পুত্রকে ওষুধটি খাওয়াতে নিষেধ করে স্থানীয় অপর
ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা করাচ্ছেন।
হাসপাতাল থেকে সরবরাহকৃত ওষুধের বোতলের গায়ে উৎপাদ তারিখ নভেম্বর ২০২০’
লেখা থাকলেও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লেখা ছিল অক্টোবর ২০২২।
একটি সরকারী হাসপাতার থেকে ময়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহের ঘটনায় ক্ষোভ
প্রকাশ করেছেন শিশুটির অভিভাবকরা। এসময় তারা হাসপাতালের ফার্মেসিস্টের
দায়িত্বহীনতার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ
কামনা করেছেন।
এব্যাপারে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: মাহাবুবুর রহমানের কাছে জানতে
চাইলে তিনি বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং সংশ্লিষ্ট ফার্মাসিস্ট আনন্দ
মোহন বিশ্বাসকে ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে বলে দিয়েছেন।
বিষয়টি জানার পর তিনি ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ আরোও একটি মেট্রানিডাজল
সাসপেনশনের বোতল পেয়েছেন বলেও জানান তিনি। তবে এঘটনায় তার বিরুদ্ধে কোন
পদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তেমন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে
জানান।
সর্বশেষ ভুক্তভোগী পরিবার হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ফার্মাসিস্ট আনন্দ মোহন
বিশ্বাসের দায়িত্বহীনতার বিষয়টির তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য
উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//এপ্রিল ১০,২০২৩//

Discussion about this post