নিজস্ব প্রতিবেদক:
পঁচা তরমুজ কিনেছেন বলে আফসোস নেই। খারাপ লাগছে এটা ভেবে ৯ কেজি ৬’শ গ্রাম ওজনের জিনিস টা ২৮০ টাকায় কিনে কষ্ট করে বয়ে বাড়িতে এনেছেন বলে জানালেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মাইলমারী গ্রামের তরমুজ ক্রেতা মামুন।
এই পবিত্র রমজানেও এভাবে মিথ্যে বলে তরমুজ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা এমন অভিযোগ অসংখ্য তরমুজ ক্রেতার।
তিনি আরাে জানান, গাংনী উপজেলার হিন্দা বাজার থেকে প্রতি কেজি তরমুজ ৩০ টাকা কেজি দরে কিনে বাড়িতে এনে ইফতারির জন্য প্রস্তুত করা হলে তা ইফতারির অনুপযোগী ছিল। ছিল পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত। বিগত বছরগুলোতে প্রতি কেজি তরমুজ ৮০/১২০ টাকা কেজি দরে কিনলেও তা ছিল ভালো। কিন্তু এবছরে শুধু হিন্দা বাজার নয় গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটা বাজারেই এমন তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে গাংনী উপজেলার হিন্দা, মাইলমারী, হিজলবাড়ীয়, ভাটপাড়া, গাঁড়াডোব ও বাঁশবাড়ীয়া বাজারসহ অসংখ্য বাজার ঘুরে এমন তরমুজ কিনে প্রতারিত হয়েছে রোজাদাররা। কেজি মূল্যে তরমুজ বিক্রি না করার আহ্বান জানানোর পরও এসব বাজার গুলোতে তা বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও পিস হিসেবে প্রতি পিস তরমুজ ছোট সাইজের ৭০/৮০ টাকা, মাঝারি ১২০/১৫০ টাকা এবং বড় সাইজের তরমুজ ২৭০/৩২০ টাকায় বিক্রি করা হলেও অধিকাংশ তরমুজ বাড়িতে নেওয়ায় পর পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত পাওয়া যায়।
তরমুজ ক্রেতা সেলিম জানান, হিন্দা বাজার হতে ১৯০ টাকায় দুটো তরমুজ কিনে দুটোই পঁচা হয়েছে। রাত হয়ে যাওয়ায় বিক্রেতার কাছে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়নি।
আবুল হোসেন জানান, বাঁশবাড়ীয়া বাজার থেকে ১৪০ টাকায় তরমুজ কিনে তা খাওয়া যায়নি। তরমুজের শরীরে স্পট পড়া দেখেই সন্দেহ হয়েছিল বলে তিনি জানান।
অসাধু বিক্রেতাদের সাথে কথা বলা হলে জানান, তারা কিনে এনে ব্যবসা করছেন। দু’একটা তরমুজ পঁচা হতেও পারে। তবে অধিকাংশ তরমুজই পঁচা বলে অভিযোগ সাধারণ তরমুজ ক্রেতাদের।
তারা জানান, ব্যবসায়ীরা পানির দামে এসব তরমুজ কিনে এনে কেজি দরে বিক্রি করছে। যা পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে তরমুজ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।
এবিষয়ে পঁচা তরমুজ বিক্রি বন্ধসহ বাজার তদারকির দাবী উঠেছে ভুক্তভোগী জনগণের কাছ থেকে।
সুতরাং শুধু শহর নয় গ্রামাঞ্চলের বাজারগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post