গোফরান পলাশ, কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জেলেদের জন্য বরাদ্দ হওয়া ভিজিএফ কার্ডের চাল প্রকৃত নিবন্ধিত জেলেদের না দিয়ে মেম্বারের পছন্দমতো ব্যবসায়ী, কৃষক, অন্য এলাকার লোকদের দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সুবিধা বঞ্চিত জেলেরা প্রতিকার পেতে উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বুধবার কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন বরাবর এই লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলার ধুলাস্বার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড, চর গঙ্গামতি এলাকার অসংখ্য জেলে।
জানা যায়, ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সিদ্দিক স্থানীয় জেলেদের সরকারি কার্ড আটকে নিজের হাতে সাদা কাগজে নাম লিখে তার পছন্দের লোকদের মাঝে বিতরণ করেন। এছাড়া মৃত জেলেদের নামেও চাল নিয়ে আত্মসাৎ করেন। স্থানীয় জেলেরা এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হুমকি দেয়া হয়।
চর গঙ্গামতি এলাকার ভুক্তভোগী জেলে ইউসুফ বলেন, ‘আমি জেলে কাজ করে ৩০ লাখ টাকা ঋণী হয়েছি। আর সরকার আমাদের যে কার্ড দিয়েছে তা মেম্বারে আটকে রেখেছে। চাইতে গেলে হুমকি দিচ্ছে। কার্ড থাকতেও চাল পাইনি।
চল্লিশ বছর জেলে পেশায় থাকা রাজা মিয়া বলেন, গত ২০ তারিখ জেলেদের চাল দিয়েছে, আমি মেম্বারের কাছে কার্ড চেয়েও না পাওয়ায় চাল পাইনি। অথচ আমার সামনে বসে একজন বরগুনার জেলেকে ৫০০ টাকা নিয়ে চালের স্লিপ দিয়েছে মেম্বর।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মেম্বার সিদ্দিক বলেন, আমরা মোট নিবন্ধিত জেলেদের থেকে কিছু কম চাল পাওয়ায় সমন্বয় করে দিতে হয়। কিন্তু কার্ড আটকে রাখার কথা মিথ্যা। আমরা চাল দিয়ে সাথে সাথে জেলেদের কার্ড দিয়ে দিচ্ছি। আমি কারো কাছ থেকে টাকা পয়সা নেই না।
ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম বলেন, আমার পরিষদের বেশীরভাগ মেম্বার পুরানো হওয়ায় তারা সিন্ডিকেট করে জেলেদের জাল আত্মসাৎ করছে। বারবার বলার পরেও এগুলোর কোনো প্রতিকার করতে পারছি না।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জেলেদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি বেশ কয়েকবার ওখানে গিয়ে তাদেরকে সতর্ক করেছি। তবে ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের নাগালের বাহিরে থাকায় এই সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে। তারপরও আমি আবার অভিযান পরিচালনা করবো। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post