সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে বিভিন্ন মামলার আসামীরা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চোরাচালান বাণিজ্য করছে। বিজিবি অভিযান চালিয়ে ২৩বস্তা সুপারী আটক করায় আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে মানববন্ধন করেছে চোরাকারবারীরা।
বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- উপজেলার বীরেন্দ্রনগর ও চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, মাইজহাটি, লামাকাটা, সুন্দরবন, সোনাপুর, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকায় দিয়ে সীমান্ত চোরাচালান সিন্ডিকেডের গডফাদার হাবিব সারোয়ার (তোতলা আজাদ) এর নেতৃত্বে চোরাকারবারী সাইফুল মিয়া, হাসিম মিয়া, বাছির মিয়া, রফ মিয়া, হাবি রহমান, নজরুল মিয়া, লেংড়া জামাল, ছোরাব মিয়া, রিপন মিয়া, শামীম মিয়া, শফিকুল ইসলাম ভৈরব, খোকন মিয়া, মানিক মিয়া, নেকবর মিয়া, সুলতান মিয়া, রুবেল মিয়া, আমির আলী, জামির আলী, সুহেল মিয়া ও আনোয়ার হোসেন বাবলুগং দীর্ঘদিন যাবত লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে কয়লা, পাথর, গরু, ছাগল, চিনি, পান-সুপারী, ইয়াবা ও মদ পাচাঁর করে অনেকেই হয়েগেছে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। তবে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পে কমান্ডার হিসেবে নায়েক সুবেদার খাদেমুল হক যোগদান করে গত একমাসে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে গডফাদার তোতলা আজাদের ৫০ মেঃটন চোরাই কয়লাসহ তার বাহিনীর প্রায় ১২০ মেঃটন অবৈধ কয়লা ও বারকি নৌকাসহ মদ ও গরু জব্দ করেছেন। এছাড়া গত বুধবার (১০ মে) সকাল ১১টায় অভিযান চালিয়ে ভারতে পাচাঁরের উদ্দেশ্যে মজুত রাখা ২৩বস্তা সুপারী জব্দ করেছেন তিনি। আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গডফাদার হাবিব সারোয়ার (তোতলা আজাদ) ও তার বাহিনী ক্ষেপে গিয়ে বিজিবির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে। কারণ তোতলা আজাদের নেতৃত্বে পাশর্^বর্তী বালিয়াঘাট সীমান্তে একাধিক মামলার আসামী মনির মিয়া, তার ভাই জিয়াউর রহমান জিয়া ও ইয়াবা কালাম মিয়াগং ভারত থেকে প্রতিদিন কয়লা ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে নিয়ে গেলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না। অন্যদিকে একাধিক মামলার আসামী রতন মহলদার, ইসাক মিয়া ও কামাল মিয়াগং টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া, বড়ছড়া, চুনাপাথর খনি প্রকল্প, লাকমা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে প্রতিদিন শতশত শ্রমিক দিয়ে অর্ধশতাধিক মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে বিন্দারবন্দ, নিলাদ্রী লেকপাড় ও পাথরঘাটাসহ বড়ছড়া শুল্কষ্টেশনের বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে ওপেন বিক্রি করছে।
এব্যাপারে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার খাদেমুল হক বলেন- বর্তমানে চারাগাঁও সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে গডফাদার হাবিব সারোয়ার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনীর প্রায় ৩শত মেঃটন অবৈধ কয়লা আরো বিভিন্ন মালামাল মজুত রয়েছে। আমি যেন অবৈধ মালামাল জব্দ না করি সেজন্য তারা আমার বিরুদ্ধে নানান ভাবে ষড়যন্ত্র করছে। সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমান বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবিকে যে সকল চোরাকারকারীরা বাঁধা প্রধান করছে তাদেরকে শীগ্রই আইনের আওতায় আনা।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post