মৌলভীবাজারের রাজনগরে এক নববধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে। এঘটনায় নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রাজনগর হাসাপাতালে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর নাম আয়শা বেগম (১৮)। তিনি উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের পঞ্চানন্দপুর গ্রামের আনকার মিয়ার মেয়ে।গত ৪-৫ মাস আগে একই ইউনিয়নের হাটিকরাইয়া গ্রামের হবিব উল্লাহর ছেলে সিএনজি অটোরিক্সা চালক মো. শীষ আলীর (২৫) সাথে তাঁর বিয়ে হয়।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আয়শা বেগমের শ্বাশুড়ি তাকে ঘুম থেকে উঠতে ডাকেন। তিনি ঘুম থেকে না উঠায় স্বামী তাকে ঘুম থেকে তোলেন। এতে আয়শা রাগান্বিত হয়ে উঠেন। স্ত্রীকে শান্ত করতে তিনি সেখান থেকে সড়ে গিয়ে গোসল করতে চলে যান। এসময় শ্বাশুড়ি রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। গোসল শেষে স্বামী ঘরে ঢুকেই আয়েশাকে টিনের ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। তখন আয়শাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে এবং তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বের হতে আয়শার বড় বোনকে নিহতের স্বামী মোবাইল ফোনে জানান। সকাল সাড়ে ৮টার সময় আয়শার বোনসহ তার স্বামী রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে নিহতের বড় বোন সোনিয়া বেগম বলেন, তাদের (স্বামী-স্ত্রী) মধ্যে কোনো ঝগড়া-ঝামেলার কথা আগে কখনো শুনি নি। সকালে আয়শাকে হাসপাতালে নিতে হবে বলেই আয়শার স্বামী ফোন কেটে দেয়। দ্রুত বাড়ি থেকে বের হয়ে করাইয়া বাজারে গেলে সেখান থেকে আমি তাদের সাথে হাসপাতালে যাই। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান সে মারা গেছে।
এ বিষয়ে রাজনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সূলেমান আহমদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মৃতদেহ পেয়েছি। সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ ব্যপারে স্পষ্ট হওয়া যাবে। নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মে ২৬,২০২৩//

Discussion about this post