পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জ জেলার সুরমা, যাদুকাটা, কুশিয়ারা, ভোলাই, পাকলিসহ সব নদনদীর পানি বাড়ছে।
রোববার (১৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জের ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।
দুপুরে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীতে এখনও পানি বাড়ছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০০ মিলিমিটার।
প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোববার সকালে ছাতক পয়েন্ট দিয়ে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারতের টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে বন্যা হতে পারে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
সিলেট জেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি সময় সময় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার শক্তিয়ার খোলা এলাকার এক কিলোমিটার সড়ক যাদুকাটা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও জানিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই নদীর পানি ছাতক উপজেলায় বিপৎসীমার মাত্র ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের প্রায় সবকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। বিকালে সিলেট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ জানান, সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, সিলেটে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ১৫ দিন এ বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম নানা প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুন ১৮,২০২৩//
সিলেট অফিস :
পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জ জেলার সুরমা, যাদুকাটা, কুশিয়ারা, ভোলাই, পাকলিসহ সব নদনদীর পানি বাড়ছে।
রোববার (১৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জের ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।
দুপুরে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীতে এখনও পানি বাড়ছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০০ মিলিমিটার।
প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোববার সকালে ছাতক পয়েন্ট দিয়ে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারতের টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে বন্যা হতে পারে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
সিলেট জেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি সময় সময় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার শক্তিয়ার খোলা এলাকার এক কিলোমিটার সড়ক যাদুকাটা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও জানিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই নদীর পানি ছাতক উপজেলায় বিপৎসীমার মাত্র ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের প্রায় সবকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। বিকালে সিলেট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ জানান, সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, সিলেটে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ১৫ দিন এ বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম নানা প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুন ১৮,২০২৩//

Discussion about this post