আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কাজ করতে দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেছেন, আমারা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়ন করতে পেরেছি। দেশে অনেক অনলাইন, এতোগুলো টেলিভিশন দিয়েছি, তাঁরা সারাদিন কথা বলে। তারপরও বলে, কথা বলার স্বাধীনতা নেই। সরকার দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। তবু কিছু মানুষ উন্নয়ন দেখে না। তারা চোখ থাকতে অন্ধ। তাদের প্রতি করুণা ছাড়া কিছু নেই।
শনিবার (০১ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নিজ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন বিরোধীদের প্রসঙ্গ উত্থাপণ করে বলেন, ‘আমার বাবা দেশটি স্বাধীন করে গেছেন। আমি দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করেই যাবো। যারা চায়নি দেশের উন্নয়ন হোক এটা তাদের প্রতি আমার চ্যালেঞ্জ। নিজের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য নয়, জনগণের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য আমি ক্ষমতায় এসেছি। আর সেটা আমি বাস্তবায়ন করে দেখাবো।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, আমাদের খাদ্য চাহিদা আমরা পুরণ করবো। যদি কোন উদ্বৃত্ব থাকে তা আমরা বাইরে বিক্রি করবো। বিশ্বে খাদ্য সংকট চলছে। বিভিন্ন স্থানে খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। কোন জমি যেন অনাবাদী না থাকে। সকল জমি আবাদ করলে আপনারাই লাভবান হবেন। ৮৫ সাল থেকে আওয়মী লীগের বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আপনারা তিনটি করে ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ লাগাবেন।
বর্তমানে দেশে ৫ শতাংশ্রায়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটিও আমরা কমিয়ে আনবো। দেশে হতদরিদ্র বলে কিছু থাকবেনা। একটি মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। সামজিক নিরাপত্তার জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দিচ্ছি। শিক্ষা ব্যবস্থা করছি, স্কুলগুলোকে নতুন ভাবে তৈরী করা হচ্ছে। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধ ও প্রায় আড়াই কোটি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়ে মানুষকে সহযোগিতা দিয়ে আসছি।
আওয়ামী লীগ প্রধান বাংলাদেশের মানুষ মাথা উঁচু করে চলবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে এদেশের মানুষ দেশকে স্বাধীন করেছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসেন আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া পৌঁছে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় প্রাঙ্গণে নিম, বকুল ও আমের তিনটি চারা রোপণ করেন। পরে তিনি নবনির্মিত কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস উদ্বোধন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছেলে এবং তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুস্পুত্র সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহাজাহান খান এমপি, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার, এস এম হুমায়ূন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম অহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিয়ার রহমান হাজরা, কামরুল ইসলাম বাদল, রুহুল আমিন খান, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন খাঁন,ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুজ্জামান খান মিলন, মাজরুল আলম পান্না, যঞ্জেশ্বর বৈদ্য অনুপ প্রমুখ।
মতবিনিময় সভা ও মধ্যাহ্নভোজ শেষে তিনি টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে কোটালীপাড়া ত্যাগ করেন। টুঙ্গিপাড়ায় তিনি রবিবার (২জুন) স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করবেন।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১জুলাই ২০২৩

Discussion about this post