চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় এক নাগাড়ে ২২ বছর কর্মরত রয়েছেনএকজন ডিডি। তিনি বর্তমানে ভিসা শাখার (পার্সোনালাইজেশন সেন্টার) উপ পরিচালক হিসেবে কর্মরত। তার নাম নাদিয়া আক্তার।
অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, নাদিরা আক্তার ২০০১ সালের এপ্রিল মাসে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে প্রধান কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক পদে যোগদান করেন। এরপর ২২ বছরই ঢাকা কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
নাদিয়া আক্তারের মরহুম বাবা এ্যাড. আফসার উদ্দিন আহমেদ বিএনপির প্রতিষ্ঠা লগ্নে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। তিনি ২০০১ সালের বিতর্কিত নির্বাচনেও বিএনপি-জামায়াত মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। মরহুম আফসার উদ্দিন আহমেদকে লোকে বিএনপির আফসার উকিল নামে চেনে। আফসার উদ্দিন আহমেদ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের মুরাইল গ্রামের বাসিন্দা।
জামায়াত বিএনপির সংশ্লিষ্টতার কারণে ডিডি নাদিরা আক্তারের এক ভাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর পদ থেকে প্রমোশন পাননি বলে একটি সূত্র থেকে জানা যায়।
নাদিরা আক্তারের বিভিন্ন সময় বদলির অর্ডার হলেও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালদের ম্যানেজ করে ঢাকা অফিসেই ২২ বছর বহাল রয়েছেন।
২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যসহ বিভিন্ন দুনীতির দায়ে দুদক কর্তৃক অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি কেমন করে সেই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন তা কারো কারো কাছে আজও রহস্য হয়ে আছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি অর্থের বিনিময়ে অফিসিয়াল পাসপোর্ট প্রদান করেন। একজনের কোলন ক্যান্সার চিকিৎসার নামে চাঁদা নিতেন। তিনি ভারত ও সিঙ্গাপুরে ৯ মাস অবস্থান করেছিলেন। বৈশ্বিক মন্দার সময় অফিসের কেউ বিদেশ যেতে না পারলেও তিনি ওই সময় ২বার সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি ভিসা শাখায় পোস্টিং নিয়ে এনবিআর’র নামে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা অবৈধ উপার্জন করেছেন। তিনি মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কয়েকজন কর্মকর্তার অভিযোগ: প্রতাপশালী এই উপ-পরিচালক অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও ড্যাম কেয়ার করে চলেন। এত কিছুর পরও তিনি আরেকটি প্রমোশন দৌড়ে এগিয়ে আছেন বলে জানা গেছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুলাই ০৫,২০২৩//

Discussion about this post