৪৫০ ভুমিহীন-গৃহহীন অসহায় পরিবার পেয়েছে মাথা গোজার ঠিকানা
মুজিব বর্ষে একজন মানুষও ভুমিহীন-গৃহহীন থাকবে না, আশ্রয়নের অধিকার প্রধান মন্ত্রীর অঙ্গিকার এই শ্লোগান নিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলাকে ভুমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে।
ই প্রকল্পের মাধ্যমে দুই শতক জমিসহ পাকা ঘর এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন ভুমিহীন-গৃহহীন অসহায় ৪৫০ পরিবার। স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্ময় করে উপজেলা প্রশাসন স্বচ্ছতার সঙ্গে যাচাই বাছাই করে বিনামুল্যে জমিসহ ঘরগুলো বিতরন করছেন।
আগামীকাল শনিবার (১৪ জুলাই) বেলা এগারটায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভাসহ এ উপলক্ষে এক উৎসব মুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভুমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি।
এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন, এসিল্যান্ড সুচী রানী সাহা, উপজেলা পরিষদের বাইস চেয়ারম্যান মীর্জা শামিমা আক্তার শিফা ও মো. আজাহারুল ইসলামসহ গন্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক ও বিনামুল্যে জমিহ পাকাঘর পাওয়া উপকারভোগি পরিবারের সদস্যগন উপস্থিত থাকবেন। আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিষয়টি নিমি।চত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন।
মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুচী রানী সাহা এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান জানান, মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পে আশ্রয়ন প্রকল্প- প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ধাপে ও চতুর্থ ধাপে ৩৪০ জন অসহায় দরিদ্র পরিবারকে মাথা গোজার মত দুই শতক জমিসহ পাকা ঘর এবং সার্বিক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
যাদের জমি ও ঘর নেই গৃহ নির্মান কার্যক্রম সহায়ক হিসেবে মির্জাপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের ৪৫০ জন অসহায় ভুমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে বিনামুল্যে দুই শতক জমি, একটি করে পাকা ঘর নির্মান করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য নির্মান ব্যয় হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। নলকুপের পানি, টিউওবয়েল ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে তাদের জন্য। উপজেলার মহেড়া, জামুর্কি, বানাইল, আনাইতারা, ভাতগ্রাম, বহুরিয়া, ভাওড়া, লতিফপুর, আজগানা, বাঁশতৈল, ওয়ার্শি ও ফতেপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩০ একর সরকারী খাস জমিতে আশ্রয়ন কেন্দ্রে ৪৫০ জন গৃহহীন পরিবারকে জমি ও পাকা বাড়ি দেওয়া হয়েছে। গৃহহীন এসব অসহায় পরিবারগুলো আশ্রয়ন কেন্দ্রে খুব ভাল ভাবেই আছেন।
আশ্রয়ন প্রকল্পের অন্তত ২০ জন নারী পুরুষ ভবঘুরে (উপকারভোগিদের) সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, জমি ও একটি ঘরের অভাবে রোদ-বৃষ্টি ও ঝড়-তুফানের মধ্যে অনেক কষ্ট করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলাম। আমাদের অসহায় পরিবারের খোঁজ খবর কেউ রাখেননি। আমাদের মানবতার মা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। জমি, পাকা ঘর, ঘরে বিদ্যুৎ, পাকা টয়লেট তৈরী করে দিয়েছেন। ঘরের পাশে পতিত জমিতে সবজি রোপন করেছি। আমাদের সন্তানেরা এখন পড়ালেখা করছে। সারা জীবন আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এখন আর আমাদের কষ্ট করতে হয় না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, স্থানীয় এমপি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরামর্শে ভুমিহীন-গৃহহীনদের সঠিক ভাবে তালিকা প্রনয়ন করে আশ্রয়ন কেন্দ্রে তাদের জমিসহ পাকাঘর নির্মানসহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। মির্জাপুর উপজেলা এখন ভুমিহীন-গৃহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে স্থান পেল।
এ ব্যাপারে ভুমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, আমাদের মানবতার মা হিসেবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মির্জাপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত ৪৫০ জন ভুমিহীন-গৃহহীন অসহায় পরিবার জমি ও পাকা ঘর পেছেন। উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সম্মনয় করে সুষ্ঠুভাবে জমি ও ঘরগুলো বন্টন করে দিয়েছেন। বর্তমান সরকার ও জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি আশ্রয়ীন পরিবারকে বসবাসের জন্য ঘর নির্মান করে দেবেন এটাই মুজিব বর্ষে তার অঙ্গিকার।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য বাংলা//জুলাই ১৪,২০২৩//

Discussion about this post