কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কিস্তি তুলতে গিয়ে এক মহিলা এনজিও কর্মী (২৯) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বুধবার ( ১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের বুজরুক বাঁখই গ্রামের পাট ক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাত পৌনে একটার দিকে তাকে অসুস্থ অবস্থায় থানায় নিয়ে আসেন। ভিকটিম কুমারখালীর সিও নামের একটি এনজিওর মাঠকর্মী। তিনি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে রাতেই থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা করেন। অভিযান চালিয়ে রাত তিনটার দিকে তিনজনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপার্দ করে পুলিশ। তারা হলেন – বজরুক বাঁখই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো. রবিন (২১) ও আবু বক্কর সিদ্দিকীর ছেলে মো. মাসফিকুর ( ১৯) এবং দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে মো. রাসেল (২০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ভিকটিম রাতে ভ্যানে করে বজরুক বাঁখই গ্রামে কিস্তি তুলতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কালু মোড়কস্থ সেতুর এলাকায় অজ্ঞাত আসামিরা পথ অবরোধ করে চালককে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। আর এনজিও কর্মীকে পাট ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর ওই ভ্যানচালক স্থানীয়দের ডেকে নিয়ে এসে প্রায় দুইঘণ্টা পরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করেন।
ভ্যান চালক বলেন, ১৫০ টাকা ভাড়া মিটিয়ে তিনি ওই মহিলাকে নিয়ে বজরুক বাঁধই যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সেতুর এলাকা থেকে ৫ -৬ জন তাকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে মহিলাকে পাটখেতে নিয়ে যান। পরে তিনি লোকজন ডেকে এনে মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় দেন।
এ বিষয়ে ভিকটিম বলেন, তিনি ভ্যানে করে কিস্তির টাকা আনতে যাচ্ছিলেন। সেসময় ৫ – ৬ জন তাঁর পথ আটকে পাট ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তিনি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশা করে থানায় মামলা করেছেন। তাঁর ভাষ্য, তিনি ভাবতেই পারেননি এমন ঘটনা তাঁর জীবনেই ঘটবে।
কুমারখালীর থানার ভারপ্রাপ্ত ( ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, কিস্তি আনতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার এনজিও কর্মীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। এঘ টনায় থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই তিনজনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
তাঁর ভাষ্য, আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সতত্যা স্বীকার করেছে। আরো কেউ জড়িত থাকলে তাঁদের কেউ আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২০ জুলাই ২০২৩

Discussion about this post