দৌলতপুর উজেলা পরিষদ লাগোয়া গুপিনাথপুর গ্রামের নায়েব আলী (৮০) এর শুয়ে থাকার কারনে শরীরে ধরেছে পঁচন, বন্ধ হয়েছে মুখের কথা, খেতে পারে শুধু পাউরুটি, বসার জন্য চাই একটি হুইল চেয়ার।
বৃহঃস্পতিবার বিকেলে খবর পেয়ে এই প্রতিবেদক দেখতে গেলে, ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে কান্নাই ভেঙ্গে পড়েছে নায়েব আলী। চোখে মুখে বলতে চেয়েছে অনেক কিছু, কিন্তু বলবে কি করে? কথা যে তার বন্ধ হয়েছে বছর দুই আগ থেকেই। তুবও বুঝাতে চেয়েছে নায়েব আলী উঠে বসতে চাই। সে জন্যই দরকার তার একটি হুইল চেয়ার।
নায়েব আলীর ছেলে শাকিরুল এর সাথে কথা বললে সে বলে, আমি দিনমজুর মানুষ খুবই কষ্টে কাটে আমার দিন। তারপরেও বাপকে যতটুকু পারি ভালো রাখার চেষ্টা করি। সে আরো বলে বাপটা বাঁচবে কতদিন জানিনা কিন্তু বসে থাকার জন্য কান্দে বাপ আমার। কি করে বসিয়ে রাখবো তাকে, আমি যে দিনমজুর দিন আনি দিন খায়। কতজন কে বইলেছি উপজেলাতেও গিয়েছি জন্যে বাপের জন্য চেয়েছি একটা হুইল চেয়ার। সময় হলে এসো দেওয়া হবে বলে বার বার তাড়িয়ে দিয়েছে চেয়ারম্যান মেম্বার।
এরপর আর কোন খোঁজ নেইনি কেউ। তাই সে আক্ষেপ করে বলে দুইদিন আগে উপজেলাতে আমার বাপের চেয়েও ভালো মানুষ হুইল চেয়ার নিয়ে গেলো। আমি শুধু তাকিয়ে থেকেছি বলে সেও কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। কানতে কানতে সাকিরুল বলে আমি কাজে গিয়েছিলাম। আজ বৃষ্টি হয়েছিল নড়াচড়া না করতে পারার কারনে বাপ আমার বাইরে পড়ে থেকেই ভিজেছে পানিতে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২৭ জুলাই ২০২৩

Discussion about this post