মো: রাসেল, বরগুনা: বরগুনার বামনায় ১২ বছর আগে চোর সন্দেহে মারধর করে একব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের বর্তমান ও তৎকালীন চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সবুজকে
সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) বামনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্তরা হালদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান স্বাক্ষরিত ২ আগস্টের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেয়। প্রজ্ঞাপন পেয়েছি। দ্রুত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আরও একটি চিঠিতে কেন তাকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে ১০ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে ২২ মার্চ বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়ায় হাবিবুর রহমান সিকদার নামে এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে নির্যাতনের পর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায় এলাকাবাসী। সেখানে চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সবুজসহ তার সহযোগীরা ওই ব্যক্তিকে পুনরায় মারধর করে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততা রয়েছে এবং সিআইডির তদন্তে তিনিই প্রধান আসামি উল্লেখ করে বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের বড় তালেশ্বরের লিটন মোল্লা স্থানীয় সরকার বিভাগে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি জানিয়ে আবেদন করলে সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান গত বছরের ২ নভেম্বর বরগুনা জেলা প্রশাসককে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। পরে জেলা প্রশাসক চেয়ারম্যানকে অপসারণের সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠালে মন্ত্রণালয় ২ আগস্ট তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সবুজ বলেন, ঘটনার সময় আমি বামনা সদরে ছিলাম। সংবাদ পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসার আগেই গ্রামবাসীর পিটুনিতে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে যায়। পরিষদে গিয়ে আমি এ অবস্থা দেখে পুলিশে খবর দিলে তারা এসে তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখানেই মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি ওই ব্যক্তির গায়ে কোন হাত দেইনি। অথচ বিরোধীদের পরামর্শে আমাকেই প্রধান আসামি করা হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এস//

Discussion about this post