কুড়িগ্রামের রাজারহাটের বুড়িরহাটে তিস্তা নদীর প্রবল পানির তোড়ে দেবে গেছে আরসিসি অংশের ৩০ মিটার স্পার।
আজ রোববার (২৭ আগস্ট) সকালে কনক্রিটের আরসিসি স্পারটি দেবে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন।
তিনি জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতের আঘাতে স্পারটির মাথার অংশে ৩০ মিটার দেবে গেছে। বাকী ৩০মিটার রক্ষায় বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ চলছে।
১৯৯৫ সালে নির্মিত আরসিসি স্পারটির দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তিস্তা নদীর অংশের ওই স্পারটিতে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে শুক্রবার থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবল স্রোতে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় তিস্তার বামতীরে নদী শাসনের জন্য নির্মিত ১৫০ মিটার মাটির বাঁধের মাথায় ৩০মিটার করে দুই অংশে ৬০ মিটার আরসিসি স্পারের উপর পানির প্রবল চাপ পড়ে। পানি তীব্র চাপ অব্যাহত থাকায় প্রথমে মাথার অংশে ৩০মিটার স্পার হেলে যায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পানিতে দেবে যায়।
স্পারটি দেবে যাওয়ায় ভাঙ্গনের হুমকীতে পড়েছে ভাটির দিকে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি, মেদনী, কালীরমেলাসহ কয়েকটি গ্রামের ঘর-বাড়ি।
স্থানীয়রা জানান, স্পার ও বাঁধের বাকী অংশ রক্ষা করা না গেলে ভাঙ্গনের কবলে পড়বে এসব গ্রামের ঘর-বাড়িসহ নানা স্থাপনা।
বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি এলাকার ইদ্রিস আলী বলেন, স্পারটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে রাত দুঃশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারি নাই আমরা। দ্রুত এটি মেরামত না করা হলে এই এলাকাটি থাকবে না। তিস্তার ভাঙনে বিলীন হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ১৫০ মিটার বাঁধ ও আরসিসি স্পারের বাকী ৩০ মিটার রক্ষায় রাতদিন কাজ চলমান থাকবে। আশা করছি বাঁধ ও বাকী আরসিসি স্পার রক্ষা করা সম্ভব হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post