কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিয়ের ৪দিন পর লিপিয়ারা খাতুন (২০) নামে এক নববধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি হাতিশালাপাড়া গ্রামে স্বামীর ঘরে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত নববধু একই গ্রামের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের মুসলিমনগর গ্রামের এরশাদ সরদারে মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২৭ সেপ্টম্বর বুধবার নববধু লিপিয়ারা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের একদিন পর স্বামীসহ সে মুসলিমনগর গ্রামে বাবার বাড়ি যায়। শনিবার রাতে স্বামীর সাথে লিপিয়ারা খাতুন শ্বশুর বাড়িতে আসে। গতকাল সকালে স্বামীর ঘরের ডাফের সাথে গলায় ওড়না পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ নিহত নববধুর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। লিপিয়ারা খাতুনের অন্য কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল এবং তার গর্ভে ৩মাসের সন্তানও ছিল বলে স্থানীয়দের অভিমত। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানানো সম্ভব হলে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর থানা পুলিশ।
এদিকে বিয়ের মাত্র ৪দিনের পর হাতের মেহেদী রং না শুকাতেই নববধুর এমন মৃত্যু নিয়ে মেয়ের বাবা ও শ্বশুর উভয় পরিবারের মাঝে ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এমন ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছেন।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১ অক্টোবর ২০২৩

Discussion about this post