রাজশাহীতে নিখোঁজের ১০ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টাবর) ভোরে নগরীর শাহমখদুম থানার সন্তোষপুরের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ আরিফুল হক চৌধুরী রিপন (৪০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত যুবকের নাম মাহফুজুর হোসেন সুজন (৩৮)। তার বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া এলাকায়। নিহত সুজনের বাবার নাম মোহাম্মদ মর্তুজা হোসেন।
আরিফুল হক চৌধুরী ওরফে রিপন নাটোরের লালপুর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের মৃত হামিদুল হকের ছেলে। তিনি নগরীর শাহমখদুম থানার সন্তোষপুর মহল্লার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। রিপন সুজনের বন্ধু। কৌশলে অপহরণ করার পর মুক্তিপণ না পেয়ে সুজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে রিপন পুলিশকে জানিয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক জানান, নিহত সুজন ও গ্রেপ্তার রিপন দুই বন্ধু। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিল। সুজনের বাবা মর্তুজা হোসেন বুধবার নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১ অক্টোবর সুজনকে অপহরণ করা হয়েছে। সুজনকে ফিরিয়ে দিতে অপহরণকারী প্রথমে এক কোটি এবং পরে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন।বিজয় বসাক বলেন, জিডির ভিত্তিতে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা ও গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়, মুক্তিপণ দাবি করা ব্যক্তির অবস্থান রিপনের ভাড়া বাসায়। এরপর পুলিশ রিপনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পরে রিপন জানান, অপহরণের পরদিন ২ অক্টোবর রিপনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে বুধবার রাতে কাশিয়াডাঙ্গা ও শাহমখদুম থানা এবং ডিবি পুলিশ রিপনকে নিয়ে তার ভাড়া বাসায় অভিযানে যান। এ সময় রিপনের দেখানো সেপটি ট্যাংক থেকে সুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সুজনের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post