আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ।
দুর্গাপূজার বাজারে বিক্রির জন্য পোড়া মাটির তৈরি খেলনাগুলোতে রঙ-তুলির আঁচড় দিয়ে রাঙাতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার মৃৎশিল্পীরা।
যশোর বেজপাড়া পূজা মন্দিরের সামনের শৈল্পিক কাজ করছেন মৃৎশিল্পী দম্পতি চন্দন মান্না ও কল্পনা রাণী মান্না। দিন-রাত রঙ-তুলি নিয়ে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন তারা। শুধু বেজপাড়া পূজা না, নীলগঞ্জ তাঁতিপাড়া, পুলেরহাট, দাইতলার রায়মানিক, ফতেপুরসহ বেশকিছু এলাকায় ৩০ থেকে ৪০ প্রকারের মাটির খেলনায় রঙ লাগাতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।
পুরোহিত তপন ঠাকুর বলেন, ‘পৃথিবীর প্রতিটি দেশে রয়েছে যার-যার নিজস্ব সংস্কৃতি। কেননা মানুষ তার নিজস্ব সংস্কৃতি কৃষ্টির আদলেই বেড়ে ওঠে এবং সংস্কৃতিকে লালন করে। আর এসবের মূলেই রয়েছে গ্রামীণ সংস্কৃতি। যার গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে মৃৎশিল্প।
মৃৎশিল্পী চন্দন মান্না বলেন, শুধু দুর্গাপূজা না, মৃৎশিল্পীদের সারাবছরই কমবেশি মাটির তৈরি খেলনা বিক্রি হয়ে থাকে। তবে, দুর্গোৎসবে ব্যস্ততা বেশিই থাকে। তিনি জানান- এঁটেল মাটির তৈরি পুতুলগুলো পোড়ানো অবস্থায় কেনেন তারা। তারপর রঙ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করেন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন ঘোষ বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা কে কেন্দ্র করে বসে নেই মাটির তৈরির জিনিসপত্রের কারিগররাও। প্রতিবছর তারা এ ধরনের খেলনাগুলো বিক্রি করেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post