মিরপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার মিরপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার এমারত সহ ৫জন আটক হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মিরপুর ফায়ার সার্ভিসের ৫শ’ গজ দুরে দক্ষিণ পাশ ডাকাতীর অভয়ারণ্য খ্যাত শাহাদালীর মেহগনি বাগানের কাছ থেকে ডাকাতীর প্রস্তুতিকালে তাদেরকে আটক করে মিরপুর থানা পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছে: উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের জিয়ারতের ছেলে এমারত আলী (২৯), পোড়াদহ তেঁতুলতলা এলাকার বাদশা ফকিরের ছেলে বিল্লাল হোসেন (২০), পোড়াদহ চিথলিয়া এলাকার রেজেক শেখের ছেলে শরিফ (২৯), আমলা চরপাড়া এলাকার নাসির উদ্দিন মালিথার ছেলে নাহিদ উদ্দিন মালিথা (২৩) ও সদর থানার আইলচারা ইউনিয়নের বাবলু মন্ডলের ছেলে আশিক (২৪)। এসময় আরো ৪-৫জন ডাকাত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ডাকাতী কাজে ব্যবহৃত হাত কুড়াল, হাসুয়া, লোহার পাইপ, হাতুড়ী, দড়ি ও গামছা উদ্ধার করে। এব্যাপারে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১২ এপ্রিল’ ২০১৫ইং রাতে মিরপুর-দৌলতপুর সড়কের উপজেলার চিথলিয়া মাঠের পিস্তুল চেয়ারম্যানের ইট ভাটার সন্নিকটে সড়কে দুঃসাহসিক গণডাকাতির কবলে পড়েন কুষ্টিয়া মিরপুরের ২ সাংবাদিক। সাংবাদিকদ্বয় হলেন, যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘গ্রামের কাগজ’ পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি বাবলু রঞ্জন বিশ্বাস এবং দৈনিক মানব জমিন ও দৈনিক দেশতথ্য পত্রিকার কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি মারফত আফ্রিদী। উক্ত ঘটনায় মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়, যার নং-০৪, তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৫ইং। এরপর ১৩ এপ্রিল রাতে স্থানীয় থানা অভিযান চালিয়ে উপজেলার চিথলিয়া ইউপি’র চিথলিয়া গ্রামের এমারত আলীকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে বাজার পাহারাদার বাদশার ডাকাতি হওয়া মোবাইল ফোন ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরপর ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে এমারত ডাকাতির বিষয়টি স্বীকার করে সব ঘটনা ফাঁস করে দেয়। পরবর্তীতে একই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চিথলিয়া গ্রামের জলিল গ্রেফতার হয়। এর কিছুদিন পর ওই ডাকাতীর সাথে জড়িত মিরপুরের চিথলিয়া ইউনিয়নের চিথলিয়া মল্লিক পাড়ার মৃত হারু মল্লিকের ছেলে স্বঘোষিত কুখ্যাত ডাকাত মূল হোতা সিরাজ মল্লিক (৩৫), আলমডাঙ্গা থানার হাটবোয়ালিয়া গ্রামের শিপনকে আটক করে মিরপুর থানা ২দিনের রিমান্ডে নেয়। এরপর ১ সেপ্টেম্বর’ ২০১৫ উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের তাছের আলীর ছেলে ডাকাত শাহ জামালকে আমলা পুলিশ ক্যাম্প আটক করে মিরপুর থানায় সোপর্দ করে। ডাকাত শাহ জামাল আটকের পর ১৬৪ ধারায় ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দীতে ডাকাতী মিশনে ৯জন ছিল মর্মে ডাকাতির বিষয়টি স্বীকার করে।

Discussion about this post