দীর্ঘদিন দখলদার ইসরাইলের হাতে নিগ্রহের শিকার ফিলিস্তিনবাসী৷ শুধু মার খেয়ে খেয়ে মার দিতে
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজীরবিহীন হামলা চালায় হামাস৷ হামাসের হামলার ইসরাইলের ১৪০০ নাগরিক প্রাণ হারায় বলে সংবাদ প্রকাশিত হলেও ইসরাইলের প্রাচীন পত্রিকাতথ্য উপাত্তে বলছে যে ঐ ইসরাইলি নাগরিকরা হামাসের হামলায় মারা যায় নি ৷ বরং ইসরাইলি বিমান থেকে ছোড়া গুলিতে অনুষ্ঠানের ৩৭৪ জন ইহুদী প্রাণ হারান। এছাড়া হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের উদ্দেশ্য করেও গুলি ছোঁড়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে এসব রিপোর্ট প্রকাশ করে ইসরায়েলের বামপন্থী পত্রিকা হারেৎজে। এতেই
রোষানলে পড়েছে সংবাদপত্রটি।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজার উপত্যকায় অব্যাহত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনীর হামলা থেকে রক্ষা পায়নি গাজার স্কুল বা বেসামরিক স্থাপনাও। এমনকি তাণ্ডব চালানো হয়েছে গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফাতেও। এছাড়া রোগীদের সরিয়ে নিতে গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালকে চার ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। গাজার এমন সব বর্বর কর্মকান্ড নিরপেক্ষভাবে বিশ্বের কাছে তুলে কর্মকাণ্ড তুলে ধরায় হুমকির মুখোমুখি হয়েছে ইসরায়েলের পত্রিকা হারেৎজ।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে হুমকির মুখোমুখি হয়েছে ইসরায়েলের পত্রিকা হারেৎজ। দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কারহি পত্রিকাটিকে শাস্তির দাবি জানান।যোগাযোগমন্ত্রী কারহি অভিযোগ করেন, হাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানের সমালোচনা করে সংবাদ প্রচার করছে হারেৎজ। এ জন্য তিনি এটিকে শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাব করেন।
সামাজিক যোগযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে কারহি অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমটি ইসরায়েলে যুদ্ধকালীন সময়ে ইসরায়েলের শত্রুদের মুখপাত্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। পত্রিকাটিকে শাস্তির মধ্যে সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে নিষিদ্ধ করা এবং এ পত্রিকাকে বিজ্ঞাপন দেয় এমন কোনো রাষ্ট্রীয় সংস্থা থেকে হারেৎজকে অর্থ প্রদানও বন্ধ ও পত্রিকাটির সরকারি সাবস্ক্রিপশনও বাতিল করার হুমকি প্রদান করেছে।
তব, সরকারের পক্ষ থেকে এমন হুমকির পর এক বিবৃতিতে হারেৎজের প্রকাশক অ্যামস শোকেন বলেন, যদি সরকার হারেৎজকে বন্ধ করতে চায়, তাহলে হারেৎজ পড়ার এখনই সময়।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post