হাটহাজারীতে কিডনি রোগে আক্রান্ত এক বাবাকে বাঁচাতে মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তারই সন্তান উপজেলার ফতেয়াবাদ কলেজের শিক্ষার্থী কায়সার (১৮)।
জানা যায়, জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত। উপজেলার উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ অছিয়ার পিতার বাড়ীর মৃত আমির হোসেনের পুত্র মো.নাছের (৫১) পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
অসুস্থ মো.নাছেরের সন্তান ফতেয়াবাদ কলেজের এইচএসসি ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ১ম বর্ষ সমাপ্ত করা কায়সার জানান, আমার বাবা ২ বার স্ট্রোক করেছেন, এবং উনার এক হাত আর এক পা প্যারালাইসিস (অবশ) হয়ে গেছে। পরে চিকিৎসার জন্য ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেলে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ডাক্তার জানান উনার দুটি কিডনি ৯৫% নষ্ট হয়ে গেছে। উনাকে সুস্থ করতে প্রতি মাসে অন্তত ৪/৫ বার ডায়ালাইসিস করাতে চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন । যার খরচ প্রতি মাসে প্রায় ৩৫/৪০ হাজার টাকার বেশি। আর্থিক অবস্থার কারনে আমাদের বাবাকে আমরা ডায়ালাইসিসও করাতে পারছিনা। অর্থের অভাবে আমি এবার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হতে পারিনি। বাবা কোনো কাজ কর্ম করতে পারেননা। তাছাড়া আমার বৃদ্ধ দাদীও অসুস্থ। সংসারে আমার ছোট বোন, মা-বাবা এবং দাদীসহ মোট পাঁচজন সদস্য। এ সংসারে বাবাই ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। কিন্তু এখন বাবা শয্যাশায়ী তাই সংসারের খরচ যোগাড় করতে আমাদের পার্শ্ববর্তী বদিআলম হাটে একটি কম্পিউটার দোকানে চাকরি নিয়েছি। কিন্তু আমার পাওয়া সামান্য টাকায় সংসারই ঠিকমতো চলেনা, বাবার চিকিৎসা করাবো কিভাবে সেটাই মাথায় আসছেনা। অসুস্থ নাছেরের স্ত্রী, সন্তান ও প্রতিবেশিরা বলছেন, অভাবের সংসারে কিডনি রোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ মেটানো তাদের পক্ষে কিছুতেই সম্বব নয় । এ ব্যয়বহুল চিকিৎসা করার মত পরিবারের আর্থিক সক্ষমতা নাই বলে দেশের বিত্তবানসহ সকল শ্রেণির জনসাধারণের কাছে চিকিৎসা সাহায্যের আবেদন জানিযেছেন পরিবারটি।
আর্থিক সাহায্য পাঠানোর বিকাশ পারসোনাল নাম্বার : 01840089532 (সন্তানের) নগদ পারসোনাল : 01874187921
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হেনা ছিদ্দিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে বলেন, অসুস্থ নাছের আমার প্রতিবেশী। খুব অসহায় পরিবারটি। চিকিৎসার জন্য টাকা সংগ্রহ করছেন তারা। সকলের উচিৎ এ মানবিক কাজে শরিক হওয়া। হয়তো সামান্য আর্থিক সাহায্যে একটি পরিবারের মুখে হাসি ফুটে উঠবে আবারও।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post