যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) তে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বের) ১৭ চাকরিপ্রার্থীকে আটকে রাখার ঘটনায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থী সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের আরাফাত হোসেন ইমন কোতোয়ালী মডেল থানায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, যবিপ্রবির ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী বেলাল হোসন (২৪), রাফি হাসান (২৪), গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রেদোয়ান হাসান রাফি (২০), পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের রায়হান রাব্বি (২৪), সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সোয়েব (২৪), পিইএসএস বিভাগের শিক্ষার্থী শাহিনুর (২৪)। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, যবিপ্রবিতে লিফট অপারেটর পদে চাকরি পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে গেলে শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্র হলের বেলাল হোসেন, রাফি হাসান, রেদোয়ান হাসান রাফি, রায়হান রাব্বি, শোয়েব, শাহিনুরসহ অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জন তাদের (চাকরি প্রার্থীদের) ধরে হলের ভেতরে নিয়ে যায়। তাদের আটকে রেখে লোহার রড, এসএস পাইপ, হকস্টিক ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে পরে চোখ বেঁধে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে নিয়ে ছেড়ে দেয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘আমি বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। আমার কোনো লোকজন কাউকে আটকে রাখেনি। যেসব কক্ষের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে আমার প্রতিপক্ষের এক নেতার অনুসারীরা থাকে।
যশোর কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি প্রার্থীদের আটকে রাখার ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post